বিবিএ নিউজ.নেট | সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২ | প্রিন্ট | 159 বার পঠিত
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি চলছে। সোমবার সকালে রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে গণশুনানি শুরু হয়। আর বিকেলের অধিবেশনে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ট্রান্সমিশন চার্জের ওপর গণশুনানি শুরু হবে।
কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে শুনানি গ্রহণে উপস্থিত ছিলেন মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান, মোহাম্মদ আবু ফারুক ও মো. কামরুজ্জামান।
এসময় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল গ্যাস কোম্পানিগুলোর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, গ্যাস কোম্পানিগুলো লাভ করছে তবুও কেনো দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানিতে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন ৷
বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, বিইআরসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যহার নির্ধারণ করে আসছে। কমিশন হচ্ছে আধাবিচারিক ব্যবস্থা, এখানে যুক্তি ও প্রমাণের মাধ্যমে মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়। আমরা আশা করবো পেট্রোবাংলা তার পরিচ্ছন্ন তথ্য উত্থাপন করবেন।
তিনি আরও বলেন, অডিট রিপোর্টে সবার মার্জিন দেখা গেছে (লাভ করছে), তাহলে কেনো দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা দিবেন। জিডিএফ জনগণের পয়সা দ্বারা গঠিত, এখান থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে সরকার। সে বিষয়ে পেট্রোবাংলার সঠিক ব্যাখ্যা প্রয়োজন। জিডিএফ’এ চার্জ ধরা হয় ৮৩ পয়সা, কিন্তু পাচ্ছে ৪১ পয়সা, ৪১ পয়সা অনুদান হিসেবে পাচ্ছে পেট্রোবাংলা। সিস্টেম লস সাড়ে ৮ শতাংশের উপরে। পৃথিবীর কোথাও ২ শতাংশের বেশি নেই। সিস্টেম লস গ্রহণযোগ্য মাত্রায় হওয়া উচিত।
একটি অভিন্ন ডাটা সেন্টার থাকা উচিত বলে মন্তব্য করে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, কোনো সংস্থা তার তথ্যের প্রতি দৃঢ় এবং অবিচল নয়। তার আজকে একটি তথ্য দিলে কয়েকদিন পরে আরেক রকম তথ্য দিচ্ছে। একটি অভিন্ন ডাটা সেন্টার থাকা উচিত।
তিনি বলেন, এবার মূল্যহার সুবিবেচনা করে সুনির্দিষ্ট ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। বাস্তবতার নিরিখে ঘোষণা করা হবে। কোনো অমানবিক সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে না।
Posted ২:৩১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy