| বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 250 বার পঠিত
একশ জনের বেশি কর্মী রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা, অতি দ্রুত ইসলামি বীমা বিধিমালা চূড়ান্তকরণ, সার্বজনীন স্বাস্থ্যবীমা ও পেনশন বীমা বাস্তবায়নে বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোকে অন্তর্ভুক্তিকরণের দাবি এসেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র বীমা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায়।
একইসঙ্গে বীমায় গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে যথা সময়ে দাবি পরিশোধ, বীমা সচেতনতা বাড়াতে প্রচার প্রচারণায় জোর দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি তাগিদ এসেছে এফবিসিসিআই’র ওই বৈঠকে।
আজ বৃহস্পতিবার সংগঠনটির বোর্ড রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্ট্যান্ডিং কমিটির ডাইরেক্টর ইনচার্জ ও এফবিসিসিআই পরিচালক এ. কে. এম. মনিরুল হকের উপস্থিতিতে ও চেয়ারম্যান ফরিদুন্নাহার লাইলীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। বীমা খাতের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রান্ত নানা বিষয় উঠে আসে সভার নির্ধারিত আলোচনায়। সূত্র জানায়, স্ট্যান্ডিং কমিটির এই সভায় বীমা বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেন সংশ্লিষ্টরা। ধীরে ধীরে এসব বিষয় বাস্তবায়নে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
সভায় বীমা পেশাজীবীদের দক্ষতা উন্নয়নে করণীয় ও তরুণদের বীমা পেশায় আগ্রহী করতে ও বীমাকে সম্মানজনক পেশায় পরিণত করতে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ দেয়া হয়।
এছাড়াও সভায় বীমায় কর্পোরেট এজেন্ট নিয়োগ, দক্ষ অ্যাকচুয়ারি তৈরি, মোটর ইন্স্যুরেন্স, নন লাইফ বীমা খাতে অবৈধ কমিশন বন্ধে ট্যারিফ কমানোসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন সংশ্লিষ্টরা।
সভায় বীমা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কার্যক্রম সফল করতে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামকে এফবিসিসিআই’র সঙ্গে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় স্ট্যান্ডিং কমিটি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীমা খাতে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে উদ্যোক্তাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার আহ্বানএফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, আস্থার সংকট কাটিয়ে ওঠাই এই খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বীমা খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ খাতে আস্থাহীনতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থান থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। মানুষের মধ্যে বীমা বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা পাল্টাতে এই খাতের সংশ্লিষ্ট সবার সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বীমা খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনও আমরা সেসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারিনি।
বীমা খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই মন্তব্য করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দীর্ঘমেয়াদে ভালো করতে তরুণ শিক্ষার্থীদের এই খাতে সম্পৃক্ত করে তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এম এ মোমেন বলেন, সময়ের পরিবর্তন হলেও বীমা খাত সনাতন প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়ে গেছে। এই খাতের আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি। এসময় আকর্ষণীয় পণ্য ও সেবা নিয়ে আসার মাধ্যমে নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার পরামর্শ দেন তিনি।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রস্তাবসমূহ লিখিতভাবে উপস্থাপন করলে এফবিসিসিআই সেগুলো নিয়ে সরকারের সাথে আলোচনা করবে বলে জানান এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
বীমা খাতের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জনান কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ এ.কে.এম. মনিরুল হক। বীমা খাতের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় এ খাতের সব অংশীজনদের সহযোগিতা চান সাবেক এমপি ও কমিটির চেয়ারম্যান ফরিদুন্নাহার লাইলী।
ইন্স্যুরেন্স খাতের উন্নয়নে অ্যাকচ্যুয়ারি থাকা জরুরি বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআইর মহাসচিব ও জীবন বীমা কর্পোরেশনের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুল হক। এই খাতের অটোমেশন করা গেলে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর বহুলাংশে সমাধান হবে বলে মনে করেন তিনি।
Posted ৭:৫৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৩
bankbimaarthonity.com | rina sristy