| ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ | ৮:০৪ অপরাহ্ণ
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এই বাণিজ্য মেলা। এর মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের তাদের পণ্যের প্রচার এবং বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৯’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল। প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পের প্রসারে সারাদেশে স্থাপন করা হচ্ছে হাইটেক পার্ক। সরকারের এ সব বহুমুখী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ও অর্থনীতির দ্রুত বিকাশে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আবদুল হামিদ বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ব্যবসায়িক আয়োজন। উৎপাদক-রপ্তানিকারক, আমদানিকারক, ব্যবসায়ী ও ক্রেতাসাধারণকে একক প্লাটফর্মে সমবেত করার ক্ষেত্রে মেলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, মেলায় উৎপাদকরা মানসম্মত, উদ্ভাবনী ও ফ্যাশনেবল পণ্যসম্ভার ক্রেতা দর্শনার্থীদের সম্মুখে উপস্থাপনের যেমন সুযোগ পায় তেমনি দর্শনার্থীরাও পণ্যের মান ও দামের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করার সুযোগ লাভ করে। এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উৎকৃষ্ট মানের পণ্যসম্ভার ও সেবা প্রদর্শনের মাধ্যমে আরও আকর্ষণীয় হবে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনু্যায়ী, মাসব্যাপী এই মেলা আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবারই প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে।
মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি। এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।
বাংলাদেশ সময়: ৮:০৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৯ জানুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed