ব্যাংক বীমা অর্থনীতি ডেস্ক | মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট | 843 বার পঠিত
বিশ্বে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি উত্তম জায়গা। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এতটাই অনুকূল যে, এখানে বিনিয়োগ করে লস করতে হলে পরিকল্পনার প্রয়োজন হবে। আর লাভ করতে চাইলে পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই, বিনিয়োগ করলেই হবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই কথা বলেছেন। সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজন্সির (কোইকা) প্রেসিডেন্ট লি মি-কিউং সৌজন্য সাক্ষাতে এলে মন্ত্রী কোইকো প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আগামীতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য জায়গা পাওয়া যাবে না। তাই এখনই বিনিয়োগের উত্তম সময়। স্পেশাল ইকোনোমিক জোন করে কাইকো খুবই লাভজনক ব্যবসা করতে পারবে। কারণ বাংলাদেশে স্পেশাল ইকোনোমিক জোনের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল। বাংলাদেশ দিনে দিনে শুধু সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অর্থনীতির সকল খাতে এই দেশ এগিয়ে চলেছে। তাই এখনই বিনিয়োগের সুবর্ণ সময়।
সাক্ষাতকালে কোইকা প্রেসিডেন্ট লি মি-কিউং বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ভাল। আমি দেশে ফিরে বাংলাদেশকে তুলে ধরবো, যাতে বিনিয়োগকারিরা এদেশে আসেন। ঢাকার যানজট ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও বাংলাদেশে বিনিয়োগে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন তিনি। এ সম্পর্কে বলেন, এক সময় তাদের দেশেরও এই অবস্থা ছিল। এটা সমাধান যোগ্য সমস্যা। তাই তিনি দেশে ফিরে কোরিয়ার যারা এই সমস্যা নিয়ে কাজ করেন তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দেবেন।
তিনি জানান, কোইকা ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের ২৪টি প্রকল্পে ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। এখন চলমান ৮ টি প্রকল্পে ৫৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ১১২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় যেভাবে বাঙ্গালীরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই অবস্থা বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য সাময়িক সমস্যা হলেও আশা করছি এই সমস্যার সমাধান হবে।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, কোরিয়া ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, আইসিটি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে। ঢাকায় আন্ডাগ্রাউন্ড সাবওয়ে তৈরি হচ্ছে। এটি হলে যানজট কমবে। তাছাড়া ঢাকা শহরকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রামের যাতায়াতের সময় কমাতে দ্রুতগতির ট্রেন চালু করা হবে। যাতে ১ ঘন্টা ৫ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে এছাড়া গ্রামগুলোকে শহরে রুপান্তরিত করা হচ্ছে, যাতে গ্রামের মানুষকে আর শহরে আসতে না হয়। সমুদ্র সৈকতকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে। এক দিকে থাকবে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য আর অন্যদিকে থাকবে দেশীয় পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত।
Posted ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed