বিবিএনিউজ.নেট | রবিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট | 1901 বার পঠিত
প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জীবন বীমা সুবিধা প্রদানের লক্ষে সৌদি আরবে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি রিয়াদ ম্যারিয়ট হোটেলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ডাক্তার আব্দুল মালেক।
দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ডক্টর আবুল হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, অর্থ মন্ত্রণালয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অজিত কুমার পাল এফসিএ, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক ও যুগ্ম সচিব কাজী মনোয়ার হোসেন, জীবন বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্হাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী নূর, বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান ড. নজরুল ইসলাম, ডিপ্লোম্যাটিক মিনিস্টার এস এম আনিসুল হক, কার্যালয় প্রধান ড. ফরিদউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ্ বলেন, আজ রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসে আমার চার বছরপূর্তি। এ চার বছরে আমি চেষ্ঠা করেছি দূতাবাসকে প্রবাসীবান্ধব করতে। কর্মকর্তাদের প্রতি সবসময় নির্দেশনা ছিল প্রবাসীদের প্রতি বন্ধুত্বসুলভ আচরণের। তিনি বলেন, শতকরা ৮০ ভাগ শ্রমিক অর্থের অভাবে সঠিক চিকিৎসা সেবা পায়না। আকামা নবায়নের জন্য যে স্বাস্হ্যবীমা দেয়া হয় তা নামমাত্র। সরকার থেকে প্রবাসীদের মৃত্যুর পর যে তিন লাখ টাকা দেয়া হয়, তা পেতেও অনেক ঝামেলা। তাই, সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করে এই স্বাস্হ্য ও জীবন বীমার ব্যবস্হা করা হচ্ছে। প্রবাসে এবং দেশে এ বীমা সুবিধা পাওয়া যাবে।
জীবন বীমার গ্রাহক হয়রানি বন্ধ, সেবার মান উন্নয়ন, প্রবাসীদের জন্য আলাদা বীমা পলিসি, প্রবাসী ডেস্ক তৈরির মাধ্যমে প্রবাসীদের ওয়ানস্টপ সেবা প্রদান এবং দূতাবাসে জীবন বীমা প্রতিনিধি নিয়োগের দাবিতে মতপ্রকাশ করেন বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্টজন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অজিত কুমার পাল এফসিএ বলেন, দেশ গড়ার যে নতুনধারা শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকলে বহু আগেই আমরা লক্ষ্যে পৌছতে পারবো এবং দেশেই কর্মসংস্হান সৃষ্টি হবে। তখন আর ভিন দেশে এসে কর্মের নামে অত্যাচারিত নির্যাতিত হতে হবে না। দুর্নীতিমুক্তকরণে পালে হাওয়া লেগেছে, দেশে সুশাসনের সুবাতাস বইছে, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো । আপনাদের সকলকে নিয়ে আমরা দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়বো।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক ও যুগ্ম সচিব কাজী মনোয়ার হোসেন বলেন, বীমা সংক্রান্ত যেকোন হয়রানির অভিযোগ আমাদের জানান। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিতে প্রস্তুত।
জীবন বীমা কর্পোরেশনের এমডি মোহাম্মদ আলী নূর প্রবাসীদের আশ্বস্ত করে বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বীমা কর্পোরেশনে গ্রাহক হয়রানি শূন্যের কোঠায়। গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদানের জন্য খুব শিগগিরই জীবন বীমার সমস্ত কার্যক্রম অনলাইন অটোমেশন সিষ্টেমে চালু হবে। প্রবাসীদের পেনশন সুবিধা প্রদানে জীবন বীমার ‘ব্যক্তিগত পেনশন বীমা পলিসি’ চালু রয়েছে, যে কেউ ইচ্ছা করলে এ পলিসি নিতে পারেন। পেশাজীবী ও কর্মজীবী মানুষ স্বভাবতই অবসর জীবনে নিরুদ্বেগ সচ্ছল শান্তিময় দিন যাপনের নিশ্চয়তা চান। পরিণত বয়সে যখন নিয়মিত আয়ের কোন নিশ্চয়তা থাকে না, পেনশন বীমা পলিসি ঠিক তখনই নিয়মিত মাসিক অর্থাগমের ব্যবস্থা করে। অবসর জীবনের আর্থিক প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখেই তৈরী করা হয়েছে আমাদের পেনশন বীমা পরিকল্পনা। যে কোন পেশায় নিয়োজিত মানুষ এ পলিসি নিতে পারেন। এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো কর্মজীবনে অকাল মৃত্যুতে পরিবারের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা বিধান যা অন্য কোনো সঞ্চয় মাধ্যমে সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, আজকে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় প্রবাসীদের স্বাস্হ্য ও জীবন বীমার জন্য সৌদি আরবের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ স্মারক স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশি প্রবাসীরা স্বাস্থ্য এবং জীবন বীমার আওতায় আসবেন।
Posted ২:৫৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed