• মেঘনা সিমেন্টের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

    বিবিএনিউজ.নেট | ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ

    মেঘনা সিমেন্টের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
    apps

    শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবারে তালিকাভুক্ত দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তা বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) গুলনকশা হলে প্রতিষ্ঠানটির ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।

    Progoti-Insurance-AAA.jpg

    সভায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।

    এতে স্বাগত ও সভাপতির বক্তব্য দেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা এ আর রশিদী।


    এ আর রশিদী বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন সিমেন্ট বিক্রি করেছে মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড। আগের বছর ছিলো ৯ লাখ ১৩ হাজার মেট্রিক টন। বিক্রি বেড়েছে ২ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। বিক্রি থেকে নীট আয় ৭৯২ দশমিক ৭০ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ বছরে ছিলো ৫৫৩ দশমিক ৩৪ কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় নীট আয় বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।

    তিনি বলেন, দেশে বেসরকারিখাতের প্রথম সিমেন্ট কারখানা মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড। প্রতিবছর দেশে সিমেন্টের চাহিদা বাড়ছে। সেই বিবেচনায় বাগেরহাটের মোংলায় নতুন প্রকল্প স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ওই কারখানায় উৎপাদন শুরু হলে বছরে ২০ লাখ মেট্রিক টন সিমেন্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করবে মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড। এতে উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে মুনাফাও বাড়বে।

    শক্তিশালী ও ভালোমানের সিমেন্ট তৈরির জন্য গুণগত কাঁচামাল প্রয়োজন। দেশের ৯০ শতাংশ কোম্পানিকে সিমেন্ট উৎপাদনের কাঁচামাল বিদেশ হতে আমদানি করতে হয়। আর্ন্তজাতিক বাজারে সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামালের দাম বাড়ায় এর প্রভাব দেশের বাজারে প্রত্যক্ষভাবে পড়ছে। এতে সিমেন্ট উৎপাদন খরচও বাড়ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি শ্রম ও মজুরি বেড়েছে।

    বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা বলেন, কর কাঠামো সিমেন্ট শিল্পকে আরও বেশি বেকায়দায় ফেলেছে। বাজেটে কাঁচামাল আমদানির জন্য ৫ শতাংশ এবং সরবরাহ পর্যায়ে ৩ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ধার্য করা হয়েছে। অসহনীয় কর কাঠামো সিমেন্ট শিল্পের প্রসারের জন্য অন্তরায়। নানা রকম বিপত্তি অতিক্রম করে সাবির্ক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড।

    তিনি বলেন, পণ্যের গুণগতমান বজায় রেখে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে পরিচালনা পর্ষদ নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছে। মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড অগ্রাধিকার শেয়ার ইস্যু করার বিষয়টি অনুমোদনের জন্য ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করা হয়েছে। এখনও অনুমোদন পাওয়া যায়নি। আলোচ্য বছরে কোম্পানি ইনফেক্টিভ ইনভারনমেন্ট সিস্টেম বাস্তবায়ন করেছে।

    বার্ষিক সাধারণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বতন্ত্র পরিচালক খাজা আহমেদুর রহমান, পরিচালকমণ্ডলীর পক্ষে ময়নাল হোসেন চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) মাহবুব হায়দার খান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব-উজ-জামান ও কোম্পানি সচিব এম নাসিমুল হাই প্রমুখ।

    সভায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদন, নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব বিবরণী, প্রতিবেদন অনুমোদন দেওয়া হয়। একইসঙ্গে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ অনুমোদন হয়। বার্ষিক সাধারণ সভায় ৫ শতাধিক শেয়ারহোল্ডার উপস্থিত ছিলেন।

    এদের মধ্যে অনেকেই বক্তব্য দেন। শেয়ারেহোল্ডাররা শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আলোচ্য বছরে নগদ শেয়ার লভ্যাংশ ও বোনাস শেয়ারের ঘোষণাকে কোম্পানির সাফল্যের ইতিবাচক প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন। উৎপাদন বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ায় এবং ধারাবাহিকভাবে লভ্যাংশ দেওয়ায় উপস্থিত শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯

    bankbimaarthonity.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    Archive Calendar

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩১৪১৫১৬
    ১৭১৮১৯২০২১২২২৩
    ২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
  • ফেসবুকে ব্যাংক বীমা অর্থনীতি