| রবিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট | 769 বার পঠিত
নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ কোথায় কোথায় আছে, সে ব্যাপারে তথ্য থাকার কথা জানিয়েছেন গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেন, ‘এসব ডলার ফিলিপিন্সের কোথায় আছে আমাদের জানা আছে। ফিলিপিন্সের বিভিন্ন জায়গায় আছে। সেগুলোতে তাদের সবাইকে রেসপন্ডেন্ট করে এ মামলা করা হয়েছে।’
যারা এটার সাথে জড়িত ছিল এবং যারা বেনিফিটেড হয়েছে তাদের বিরদ্ধেই মামলা করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় একটি ব্যাংক হিসাবে পাঠানো দুই কোটি ডলার উদ্ধার হয়। তবে ফিলিপিন্সের রিজল কমার্সিয়াল ব্যাংকে চারটি হিসাবে আট কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেওয়া হয়। এই অর্থ তুলে স্থানীয় একটি ক্যাসিনোতে নিয়ে যাওয়া হয়।
একটি ক্যাসিনোর মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে বাংলাদেশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বাকি টাকার কোনো হদিস মেলেনি।
গভর্নর আরও বলেন, “ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক আমাদের সাথে এগ্রিমেন্ট করেছে মামলার প্রথম থেকে শুরু করে প্রতিটা ডলার উদ্ধার পর্যন্ত তারা আমাদের সাথেই থাকবে।” কতদিনের মধ্যে এ মামলার সুরাহা হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন বলতে পারছি না। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হতে পারে। তবে নিউ ইয়র্ক কোর্ট যেখানে এ মামলা করা হয়েছে, এখানে সাধারণত জলদি হয়।
“ফিলিপিন্সে অনেক বিলম্ব হত। ওখানে অনেক দীর্ঘসূত্রতা আছে। নিউ ইয়র্কে অনেক সুবিধা। আমরা আশা করছি খুব বেশি সময় লাগবে না।”
বাংলাদেশের মামলাকে ভিত্তিহীন বলে আরসিবিসি কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের প্রসঙ্গে ফজলে কবির বলেন, “আরসিবিসি এটা বললেও বুঝতে হবে যে আরসিবিসির ওখানে সমস্ত টাকা গিয়েছিল। অর্থাৎ ৮১ মিলিয়ন ডলার আরসিবিসিতেই গিয়েছিল এবং সেটি চারটা ফেইক অ্যাকাউন্টেই গিয়েছিল, যে অ্যাকাউন্টগুলো বৈধ না।
“এ কাজের জন্য আরসিবিসিকে ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের রেকর্ড সর্বোচ্চ পানিশমেন্ট দিয়েছে। তাদেরকে সাজা দিয়েছিল এক বিলিয়ন (১০০ কোটি) পেসো, অর্থাৎ ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটা সঠিক ছিল না, এটা লন্ডার্ড মানি ছিল। এই কারণে তাদের শাস্তি দিয়েছিল। কাজেই আরসিবিসি এটা বললেই তো হয় না।”
বিআইবিএমের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রহিম ও বিআইবিএম সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরীসহ আরও অনেকেই এ সময় উপস্থিত ছিলেনে
Posted ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed