বিবিএনিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 220 বার পঠিত
বৈশ্বিক মহামারী করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ ইউরোপে আঘাত হানতে শুরু করেছে। এর ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। করোনা সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হয়েছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতে বিষয়টি কী দাঁড়ায় সে বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।
শীত চলে যাওয়ার পর বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল করোনার প্রথম পর্যায়ের সংক্রমণ। এ কারণে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত মোকাবিলা করাটা কিছুটা কঠিন হতে পারে। করোনার প্রথম পর্যায়ে অর্থনীতিতে যে ধরনের ক্ষতি হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্ষতি যেন আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে না পারে, সেদিকেই নজর রাখা দরকার। কারণ প্রথম পর্যায়ের চেয়ে দ্বিতীয় ঢেউ লম্বা ও দীর্ঘসময় থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
অর্থনীতি এখন যে অবস্থায় আছে, তার চেয়ে খারাপ হলে সাধারণ মানুষের জীবনমান সংকটে পড়তে পারে। তাই আগেরবার যেভাবে মৃত্যু হয়েছে, এবার সেভাবে যেন মৃত্যু না হয়, বা মৃত্যু কমিয়ে আনার চেষ্টা করবে অধিকাংশ দেশ। ফলে এর প্রভাবও পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও। এতে আমাদের অর্থনীতি এখনকার চেয়ে আরো দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
অবশ্য করোনার এই দুঃসময়ে গতিশীল ছিল দেশের অর্থনীতি। উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টা, শ্রমজীবী মানুষের পরিশ্রম ও সরকারের সহযোগিতা- এই তিন শক্তি এক হওয়ায় অর্থনীতির চাকা সচল ছিল। এক্ষেত্রে ভ‚মিকা রেখেছে গার্মেন্টস শ্রমিকদের কষ্টের বিনিময়ে অর্জিত রফতানি আয় এবং প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বাড়ার সুফল অর্থনীতির অন্যখাতের সুবিধাভোগীরাও পাচ্ছেন।
রেমিট্যান্স বাড়ার কারণে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা রয়েছে। এছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছে। ব্যাংকের আমানতও বাড়ছে। দীর্ঘদিনের মন্দায় থাকা পুঁজিবাজারেও কিছুটা প্রাণ ফিরে এসেছে। তাই সামনেও অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হতে পারে করোনা। এ কারণে বাড়তি সতর্কতা খুবই জরুরি।
Posted ১:১০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed