শুক্রবার ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জমির মালিকানাসহ নানা জটিলতা কমাতে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ

আদালতে বিচারাধীন ভূমি সংক্রান্ত ২৪ লাখ মামলা

আবুল কাশেম   |   শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২   |   প্রিন্ট   |   425 বার পঠিত

আদালতে বিচারাধীন ভূমি সংক্রান্ত ২৪ লাখ মামলা

বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় নানা ঘটনা ও অপরাধে প্রায় ৪০ লাখ মামলা আদালতে বিচারাধীন। এরমধ্যে শুধু জমির মালিকানা নিয়ে নানা জালিয়াতি ও জটিলতা সংক্রান্ত প্রায় ২৪ লাখ মামলা- মোকদ্দমা আদালতে বিচারাধীন। আদালতে বিচারাধীন মোট মামলার প্রায় ৬০ শতাংশই জমি জমা সংক্রান্ত। জমির মালিকানাসহ নানা জটিলতার বিরোধের মামলার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সরকার মামলার জট কমাতে জমি-জমা সংক্রান্ত এবং পারিবারিক বিরোধের মামলা মোকদ্দমা দ্রুত নিষ্পত্তির সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সমন্বয়ে গ্রাম্য আদালত চালু করেছে।

সূত্র মতে,জমির মালিকানা সংক্রান্ত নানা জটিলতা নিরসনে ব্রিটিশ আমল থেকে সর্বশেষ বাংলাদেশ সরকারের আমলেও কয়েকদফা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এদেশে ১৯১০-১৯২০ সাল পর্যন্ত সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমির মালিকানা নির্ধারণে ভ’মির পরিমাপ করা হয়। উহার আয়তন, অবস্থান ও ভূমির ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা, নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত তথ্য নিয়ে তৈরি করা হয় ‘সিএস খতিয়ান’। পরে পাকিস্তান আমলে ১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। সরকারি কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধনের মাধ্যমে নতুন খতিয়ান তৈরি করে, যা ‘এসএ খতিয়ান’ নামে পরিচিত। বাংলা ১৯৬২ সাল পর্যন্ত সময় লাগে খতিয়ান তৈরি করতে। যার ফলে অনেকের কাছে ‘এসএ খতিয়ানকে আবার ৬২’র খতিয়ান নামেও জানেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার ‘আর এস / বিআরএস খতিয়ান’ তৈরির কাজ ১৯৯০ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে। ঢাকা অঞ্চলে এটাকে মহানগর জরিপ হিসাবেও পরিচিত।

সূত্র মতে, সিএস,এসএ,পিএস,আরএস,বিএস ও সিটি জরিপ পরিচালিত হয়েছে। ভূমি জরিপ হচ্ছে ভূমির মালিকানা সম্বলিত ইতিহাসের সরেজমিন ইতিবৃত্ত। আর আইনী সংজ্ঞা হচ্ছে, দ্যা সার্ভে অ্যাক্ট- ১৮৭৫ এর ২ ধারা অনুযায়ী, ‘জরিপরে’ অন্তর্ভুক্ত হবে সীমানা চিহ্নিত করণ, নদীতীর বরাবর ক্ষয়প্রাপ্ত বা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমি, নদীর গতি পরিবর্তনের ফলে পুনঃউদ্ভব বা নূতন উদ্ভবকৃত জমির পরিমাণ নির্ধারণ এবং জরিপের সহিত যুক্ত পূর্ববর্তী সকল কার্যক্রম। একটি ভূমির মালিকানা এবং তার সীমানা কতটুকু এটা ভূমি জরিপের মাধ্যমে নকশা/ম্যাপ নির্ণয় করা হয়।

মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য; ভূমির মৌজা, খতিয়ান নাম্বার, ভূমির দাগ নাম্বার, মালিক ও দখলের বিবরণের তথ্য থাকে খতিয়ানে। ১) ‘সিএস’-ক্যাডাস্ট্রীয়াল সার্ভে হয় ১৮৮৮-১৯৪০ সাল পর্যন্ত, ২) ‘এসে এ’ -এস্ট্রেট অ্যাকুইশন সার্ভে হয় ১৯৫৬–১৯৬২ সাল পর্যন্ত, এটাকে পাকিস্তান জরিপ বলা হয়।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর ‘সিএস এবং এসএ’ জরিপের কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি জরিপ কাজ পরিচালনা করে। যা ‘আর এস’ রিভিশনাল সার্ভে নামে পরিচিত। এই ‘আর এস’ জরিপের পর্চা, নক্সা, খতিয়ান, নামজারি উপরই বর্তমানে জমি ক্রয়- বিক্রয়ে রেজিস্ট্রেী চলমান রয়েছে। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত চলমান জরিপকে বাংলাদেশ সার্ভে ‘‘বিএস খতিয়ান বা সিটি জরীপ’ বলা হয়। শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতে ‘বিএস খতিয়ানকে সিটি জরিপ বা ঢাকা মহানগর জরিপ। এটিই সর্বশেষ আধুনিক জরিপ। তবে সারাদেশে ‘আরএস জরিপ এবং ক্ষেত্র বিশেষ সিটি জরীপের উপর জমির রেজিস্ট্রেশন চলমান রয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন গত ২৪ জানুয়ারি বিবিসিকে বলেছেন, “বিচারাধীন মোট মামলার ৬০ শতাংশের বেশিই জমি জমা সংক্রান্ত। অধিকাংশ মামলার ‘রুট’ হচ্ছে জমি নিয়ে।” এসব অপরাধগুলো দেওয়ানি অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। দেওয়ানি অপরাধের বিচার নিষ্পত্তিতে অনেকদিন সময় লাগে। কিন্তু সরকারের প্রনীত ভূমি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নতুন আইনটি পাস হলে এইসব দেওয়ানি অপরাধও ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে। ফলে অপরাধের দ্রুত বিচার নিস্পত্তি করা যাবে।

বাংলাদেশের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলছেন, ”এই নতুন আইনটি কার্যকর হলে ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ কমে যাবে। ফলে জমি-জমা সংক্রান্ত মামলাও অনেক কমে যাবে।” রীতি অনুযায়ী, এই আইনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুমোদিত হলে, আইনটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করা হবে। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি বিবিসি বাংলায় অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ভূমি সংক্রান্ত নতুন আইনে ২৪ ধরনের অপরাধ এবং সাজার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

সূত্র মতে, নতুন এই আইনের প্রস্তাবে বাংলাদেশের সরকার জমি-জমা, ফ্ল্যাট ইত্যাদি সংক্রান্ত ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির বিধান রয়েছে। এটাকে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২১’ নামে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে খসড়া হিসেবে রয়েছে। নতুন আইনে ভূমির জবরদখল, ক্ষতি, জাল কাগজপত্র তৈরি করে জালিয়াতি বা প্রতারণা বন্ধ করাই এই আইনের প্রধান উদ্দেশ্য। এই আইনে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমার পাশাপাশি জনগণের ভোগান্তি অনেকটা দূর হতে পারে। প্রস্তাবিত এই আইনে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্টেট, েেট্রাপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এই আইনের প্রয়োগ করা যাবে।

১) জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যক্তি মালিকানাধীন বা সরকারি খাস জমি, কোন প্রতিষ্ঠানের জমির দলিল জাল করলে ৬ মাস থেকে দুই বছরের কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে। ২) মালিকানার অতিরিক্ত জমির দলিল সম্পাদন করলে, কিংবা নিদিষ্ট মালিকানার বেশি জমির দলিল করলে দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড, ৩ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে হবে। ৩) একই জমি একই ব্যক্তি একাধিকবার বিক্রির উদ্দেশ্যে দলিল করলে দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড, ৩ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ড জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে। ৪) জমি বিক্রয় চুক্তি বা বায়না চুক্তি করার পর পুনরায় অন্যব্যক্তির সঙ্গে ওই জমির বায়না চুক্তি করলে দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড, ৩ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে। ৫) প্রতারণা বা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কেউ অপরের জমির দান হিসেবে দলিল রেজিস্ট্রী করলে ৬ মাস থেকে দুই বছরের কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে।

৬) উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী, অন্যকে বঞ্চিত করে নিজের হিস্যার চেয়ে বেশি জমি দলিল রেজিস্ট্রী করলে ৬ মাস থেকে দুই বছরের কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা থেকে দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারেন। ৭) বৈধ কাগজপত্র না থাকার পরেও অপরের মালিকানাধীন,সরকারি খাস জমি বা কোন সংস্থার জমি জোর করে দখল করলে এক বছর থেকে তিন বছরের কারাদন্ড, এক লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে।

৮) কোন ব্যক্তি তার শরীক বা সহ-উত্তরাধিকারীর প্রাপ্য জমি জোর করে দখল করে রাখেন, সেজন্য ৬ মাস থেকে দুই বছরের কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে। ৯) বেআইনিভাবে সরকারি বা বেসরকারির জমি, নদীর পাড়, তলদেশ ইত্যাদি থেকে মাটি বা বালু উত্তোলন করলে ৬ মাস থেকে দুই বছরের কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে। ১০) বেআইনিভাবে মাটি ভরাট করে বা অন্যভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি করলে ৬ মাস থেকে দুই বছরের কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড পারে।

১১) জমির মালিকের অনুমতি ছাড়া জমির থেকে মাটি উত্তোলন করলে ৬ মাস থেকে দুই বছরের কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে। ১২) কোন এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণের খবর জানতে পেরে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে ভূমি নিবন্ধন করলে ৬ মাস থেকে দুই বছরের কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে। ১৩ ) খেলার মাঠ, জলাশয়, কবরস্থান, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, দরগা, শিক্ষা বা ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানসহ দাতব্য বা জনপ্রতিষ্ঠানের জমি দখল করে অবকাঠামো নির্মাণে করলে,বা নির্মাণে সহায়তা করলে ৬ মাস থেকে দুই বছরের কারাদন্ড, ২ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে। ১৪) অনুমতি ছাড়া পাহাড় বা টিলার পাদদেশে বা পাহাড়ে বসতি স্থাপন করলে যে কোনো সময় উচ্ছেদ করা যাবে। অবৈধভাবে বসতি স্থাপনের জন্য তিন মাসের কারাদন্ড অথবা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে। ১৫ ) একই জমি একাধিক ব্যক্তির বরাবর দলিল করে দেয়া, চুক্তি মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ে জমির দলিল দিতে না পারা, ফ্ল্যাট বিক্রয়ের পর ঘোষিত সময়ের মধ্যে হস্তান্তর করতে না পারলে, ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হলেও দলিল দিতে ব্যর্থ হলে ৬ মাস থেকে দুই বছরের কারাদন্ড, ১০ লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে।

১৬) জমির মালিকের সঙ্গে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি চুক্তি করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভূমি মালিকের অংশ বুঝিয়ে না দিলে বা দখল না দিলে দুই বছরের কারাদন্ড অথবা ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে। ১৭ ) সরকারি বেসরকারি বা সংস্থার জমির বেআইনি দখল সংক্রান্ত অপরাধে ৬ মাস থেকে দুই বছরের কারাদন্ড, এক লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড হতে পারে। ১৮) নদী, হাওর,বিল বা জলাভূমির মাটি, বালি বা আবর্জনা দ্বারা, অন্য কোন পদার্থ বা উপায়ে বা অবকাঠামো নির্মাণ করে নদী, হাওর,বিল বা জলাভূমির আংশিক ক্ষতি করা হলে অনধিক এক বছরের কারাদন্ড, এক লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে।

১৯ ) অপর মালিকের জমির ক্ষতি করা হলে ৬ মাস থেকে দুই বছরের কারাদন্ড, এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড হতে পারে। ২০ ) অবৈধ দখল গ্রহণ বজায় রাখতে অস্ত্র প্রদর্শন, প্রাণনাশের হুমকি এবং পেশিশক্তি প্রদর্শন জামিন অযোগ্য অপরাধে ৬ মাস থেকে ৩ বছরের কারাদন্ড, এক লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড হতে পারে। ২১ ) জমি নিয়ে একই অপরাধে একবার সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর পুনরায় ওই একই অপরাধ করলে দ্বিতীয় বার দ্বিগুণ শাস্তি ভোগ করতে হবে। ২২) বেশি জমি লিখে নিয়ে জমির পরিমাণ এক একরের বেশি হলে এবং ল্যান্ড ডেভেলপার বা রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার জড়িত থাকলে দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড, ৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে।২৩ ) প্রতিবেশীর জমির ক্ষতিসাধনে জড়িত পাশের জমির মালিক ও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তাকারীদের এক বছর থেকে দুই বছরের কারাদন্য, ৩ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড হতে পারে।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৮:১২ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।