সোমবার ৬ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসন্ন বাজেটের জন্য বিএমবিএ’র ৫ প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   42 বার পঠিত

আসন্ন বাজেটের জন্য বিএমবিএ’র ৫ প্রস্তাব

আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের জন্য ৫টি প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। এর মধ্যে রয়েছে- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের পার্থক্য কমানো, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো করপোরেট করহার কমানো, শেয়ারবাজাের ওপর কর প্রত্যাহার, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাটহার কমানো এবং অপ্রদর্শিত আয় শুধুমাত্র শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রাখার প্রস্তাব।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিসার) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে সংগঠনটি। এসময় বিএমবিএ’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এনবিআরকে বিএমবিএ জানিয়েছে, ২০১১ সাল থেকে শেয়ারবাজার বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অন্যান্য আর্থিক সূচক ভালো থাকার পরও শেয়ারবাজারে তা সঠিকভাবে দৃশ্যমান নয়। তাই আমরা মনে করি, শেয়ারবাজারকে পেছনে রেখে উন্নতির অভীষ্ট লক্ষে পৌঁছানো যাবে না। তাই, শেয়ারবাজারের গতিশীলতা আনয়নে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে, যার ফল লক্ষণীয়।

বিএমবিএ বলেছে, যেহেতু সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইনি কাঠামো সংশোধন/সংযোজন/পরিবর্তন/পরিবর্ধন করতে পারে এবং তারা সঠিকভাবেই তা করে যাচ্ছে। কিন্তু শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ফিসক্যাল ও রাজস্ব পলিসি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শেয়ারবাজারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও রাজস্ব বৃদ্ধি হয়। তাই শেয়ারবাজারের গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। শেয়ারবাজারের গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য আসন্ন বাজেটে প্রস্তাবিত সুপারিশগুলো সদয় বিবেচনার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিএমবিএ জানিয়েছে, বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের পার্থক্য মাত্র ৭.৫০ শতাংশ। তবে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টেলিকম, টোব্যাকো ইত্যাদি খাত ব্যতীত। অর্থাৎ তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য কর রেয়াত ৭.৫ শতাংশ আছে। ফলে, এ সুবিধা উদ্যোক্তাদের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য উৎসাহিত করে না। তাই, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের পার্থক্য ১৫ শতাংশ করার জন্য সুপারিশ করছি।

বর্তমানে মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার ৩৭.৫০ শতাংশ, ব্রোকারের করহার ২৭.৫০ শতাংশ এবং সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানির করহার ১৫ শতাংশ। তাই মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো করপোরেট করহার ২৫ শতাংশ করার সুপারিশ করেছি।

শেয়ারবাজারের ওপর কর্পোরেট কর কর্তনের পর শেয়ারবাজার প্রদান করা হয়। ডিভিডেন্ড প্রদানের সময় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে অগ্রিম কর কর্তন করা হয়। পরবর্তীতে আবার শেয়ারবাজা গ্রহীতার ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্নের সময় তার ওপর প্রযোজ্য হারে কর প্রদান করতে হয়। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজা গ্রহণ না করে রেকর্ড ডেইটের আগেই শেয়ার বিক্রয় করে দেয়। ফলে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ না করায় শেয়ারবাজারকে অস্থির করে তুলে। তাই শেয়ারবাজারের গতিশীলতা আনয়নে শেয়ারবাজাের ওপর কর প্রত্যাহারের সুপারিশ করছি।

তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাট হার একই অর্থাৎ ১৫ শতাংশ। তাই তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাটহার হ্রাস করে ১০ শতাংশ করার জন্য সুপারিশ করছি।

এছাড়া অপ্রদর্শিত আয় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে বিএমবিএ জানিয়েছে, অপ্রদর্শিত আয় ৫ শতাংশ কর প্রদান করে শুধুমাত্র শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য আরও এক বছর সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। এর ফলে, অপ্রদর্শিত অর্থ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। অন্যথায় অপ্রদর্শিত অর্থ অপব্যবহারের সুযোগ থেকে যায়। অপ্রদর্শিত অর্থ অপব্যবহারের সুযোগ বন্ধের লক্ষে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য একটি সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

 

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:২৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।