নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৯ মে ২০২০ | প্রিন্ট | 379 বার পঠিত
নীলফামারীরতে গত ৬ মে, ২০২০ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ৩ জনসহ সৈয়দপুর শাখাতেই ০৯ জন এবং সদরে ১ জন আক্রান্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
প্রতিদিনই ব্যাংকটিতে নতুন রেকর্ডে সংক্রমিত সনাক্ত হওয়ায় ব্যাংক পাড়াতে ব্যাংকার ও ব্যাংক গ্রাহকদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরই মধ্যে অন্য ৩টি ব্যাংকও লকডাইন ঘোষনা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ৩য় ধাপে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সৈয়দপুর শাখায় ব্যবস্থাপকসহ নতুন করে ৩ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষায় নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমনের পজিটভ রিপোর্ট আসে। এনিয়ে ওই শাখায় ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হলো। আক্রান্ত নতুন ৩ জনের মধ্যে সৈয়দপুর শহরের শহীদ বদিউজ্জামান সড়কে বসবাসকারী ২ জনকে গতকাল রাতেই সৈয়দপুর ১’শ শয্যা হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত দুইজনের বাড়িসহ ১৩টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
এদিকে গত ২৮ এপ্রিল ব্যাংকের ওই শাখাটি লকডাউন ঘোষনা করে ব্যবস্থাপক নিজ গ্রামের বাড়ি বগুড়া সেউজগাড়িতে চলে যান। সেখানে তিনি স্বেচ্ছায় কোয়ারিন্টনে থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করান। গতকাল তারও পজিটিভ রিপোর্ট আসে। সেখানে তাকেও আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকের ওই শাখাটিতে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় পাঠানো রক্তের নমুনাতে ৬ জনের করোনা পজিটভ রিপোর্ট আসে।
অন্যদিকে একই ব্যাংকের সদর শাখায় গত ২ মে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়। এ নিয়ে নীলফামারীতে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হলো। দিন দিন ব্যাংকে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ব্যাংক ও গ্রাহকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরই মধ্যে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেড ডিমলা শাখা এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড সৈয়দপুর শাখা লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনতা ব্যংক লিমিটেড সৈয়দপুর শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, দিন দিন ব্যাংকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধি পাচ্ছে অথচ কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত আমাদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর (পিপিই) ব্যবস্থা করেনি। তাই আতঙ্ক নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। আনিছুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ব্যবসার কারনে অনেক ব্যাংকের সাথেই প্রতিদিন তাকে লেনদেন করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে লেনদেন করতে মনের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।
এ ব্যাপারে নীলফামারী সিভিল সার্জন বলেন, আক্রান্ত ব্যাংকারদের স্ব স্ব উপজেলায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আতঙ্ক নয় বরং সবাইকে তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থবিধি মেনে চলার আহবান জানান।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান বলেন, সবাইকে ধৈর্য্যসহকারে বৈশ্বিক এই মহামারি মোকাবেলা করতে হবে। এ জন্য তিনি সরকারের দেওয়া নির্দেশনা পালন করতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
Posted ৬:০১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৯ মে ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan