শুক্রবার ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার উল্টো চিত্র মসলার বাজারে

বিবিএনিউজ.নেট   |   শনিবার, ০৪ জুলাই ২০২০   |   প্রিন্ট   |   301 বার পঠিত

এবার উল্টো চিত্র মসলার বাজারে

প্রতিবছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরম মসলার দাম বাড়ানো নিয়মে পরিণত হলেও এবার এসব পণ্যের দাম বাড়েনি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

আমদানিকারক ও পাইকাররা বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাবে গরম মসলার চাহিদা আগের চেয়ে কমে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও এসব পণ্যের দাম কম। যে কারণে এবারের ঈদের আগে কিছু মসলার দাম কমেছেও।

তবে ক্রেতাদের ভাষ্য, মহামারীর শুরুর দিকেই অধিকাংশ মসলার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও দেশে তুলনামূলকভাবে দাম ততটা কমানো হয়নি।

কারওয়ানবাজারের মসলা আমদানিকারক অ্যারাইট স্টোরের আবদুল মতিন বলেন, “আমরা মসলা ইমপোর্ট করেছি, কিন্তু বিক্রি করতে পারছি না। করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের সামর্থ্য কমে গেছে। যে কারণে কম মসলা কিনছে তারা।”

তিনি জানান, বর্তমানে সবচেয়ে ভালো মানের এলাচির কেজি পাইকারি দাম চার হাজার টাকার মধ্যে। তবে মানভেদে এলাচির কেজি তিন হাজার টাকাও আছে।

“যে এলাচি তিন-চার মাস আগেও পাঁচ হাজার টাকা কেজি ছিল তা এখন কেজিতে এক হাজার টাকার মতো কমেছে।”

রামপুরা বাজারের খুচরা বিক্রেতা তাহের স্টোরের আবু তাহের বলেন, “মসলার দাম নতুন করে বাড়েনি ঠিক, তবে দুই-একটি ছাড়া অন্যগুলোর দাম তেমন কমেনি।”

তিনি বলেন, “এলাচি তো খুচরা সাধারণত এক কেজি কেউ কিনে না, তবে আমরা যা বিক্রি করি এতে ভালো মানেরটা পাঁচ হাজার টাকা কেজি পড়ে।”

এছাড়া পাইকারিতে দারুচিনির কেজি ৩৬০ টাকা, খুচরা বাজারে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, জিরা পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়, খুচরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।

পাইকারিতে প্রতি কেজি লবঙ্গ ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে এই মসলারটির এক কেজির দাম পড়বে এক হাজার টাকা। গোলমরিচ পাইকারিতে ১২০০ টাকা কেজি, আর খুচরায় দেড় হাজার টাকার বেশি বিক্রি করা হচ্ছে।

মালিবাগের মার্জিয়া স্টোরের মালিক খুরশেদ আলম বলেন, “গরম মসলার দাম বাড়েনি। বহু মানুষের কেনাকাটার সামর্থ্য কমে গেছে। বরং এলাচি কেজিতে এক হাজার টাকার মত কমেছে। আর জিরার কেজি ছিল ৬৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা; এটি এখন ৪০০ টাকার মধ্যে আছে। দারচিনি, লবঙ্গের দামও কমেছে।”

করোনাভাইরাসের প্রভাবে মানুষের মধ্যে কেনাকাটার সমার্থ্য কমে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “অন্যান্য সময় শুক্রবার সকালের মধ্যে ১০ থেকে ১২ কেজি শুধু পোলাও চাল ও অন্যান্য মসলা বিক্রি করেছি। আজকে চার থেকে পাঁচ কেজি পোলাও চাল বিক্রি হয়েছে। এর মানে মানুষের কেনাকাটা কমে গেছে। তার জন্য দায়ী হলো করোনাভাইরাস।”

শান্তিনগরের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, “শুধু মসলা কেন, কোনো জিনিসের দামই তো কম না। বাজারে সবকিছুই তো আকাশ ছোঁয়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। তরিতরকারি থেকে শুরু করে মাছ-মাংসের দামও বেশি।

“আমাদের দেশে কোনো জিনিসের দাম একবার বাড়লে, তা যদি আন্তর্জাতিক বাজার বলি বা পাইকারি বাজার বলি, সেখানে কমলেও খুচরা বাজারে অত সহজে কমে না। এখানে সরকারের মনিটরিংয়ের অভাব রয়েছে।”

এদিকে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম কমেছে বলে জানিয়েছে সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি। প্রতিষ্ঠানটি বাজারের নিত্যপণ্যের দর নিয়ে জরিপ করে সপ্তাহিক বাজার মূল্য প্রকাশ করে।

তবে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা নিয়ে টিসিবির ওই মূল্য তালিকার সাথে বাজারে চিত্র ভিন্ন পাওয়া যায়।

টিসিবির দাবি, পেঁয়াজ কেজিতে পাঁচ টাকা কমে ৩৫-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু খুচরা বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ ৪৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রসুন ৮০-১১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে টিসিবির মূল্য তালিকায় থাকলেও বাজারে রসুনের কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

মুদি দোকানী মো. আনোয়ার বলেন, আদা ও রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকার মত কমেছে। তবে পেঁয়াজের দাম কমেনি। অন্যান্য জিনিসের দাম স্থিতিশীল আছে।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৩:২৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৪ জুলাই ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11187 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।