কমে গেছে শেয়ার বাজারে তালিকাভূক্ত ড্যাফোডিল কম্পিউটারের লভ্যাংশের পরিমাণ।

শেষ পাঁচ বছরের মধ্যে এবার সব থেকে কম লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এবার শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ হিসেবে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে নগদ এক টাকা করে পাবেন।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভায় ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর নিয়তিমই শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশ দিচ্ছে কোম্পানিটি। ফলে ভালো কোম্পানি বা ‘এ’ গ্রুপে স্থান হয়েছে কোম্পানিটির। এবারও ঘোষিত লভ্যাংশ কোম্পানিটিকে এ গ্রুপে স্থান দেবে।

তবে শেষ পাঁচ বছরের মধ্যে সব থেকে কম লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডাররা। এর আগের ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদের ১২ শতাংশ নগদ, ২০১৭ সালেও ১৮ শতাংশ নগদ, ২০১৬ সালে ১৫ শতাংশ নগদ এবং ২০১৫ সালে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স।

লভ্যাংশের পরিমাণ কমলেও এবার মুনাফার প্রায় সম্পূর্ণ অংশ শেয়ারহোল্ডারদের বিলিয়ে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিটি শেয়ারে এক টাকা ৪৭ পয়সা হারে কোম্পানিটির মোট মুনাফা হয়েছে সাত কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এর মধ্য চার কোটি ৯৯ লাখ টাকাই লভ্যাংশ হিসেবে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ মুনাফার ৬৮ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে দেয়া হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির মোট শেয়ারের ৪১ দশমিক ৩৪ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৪৪ শতাংশ শেয়ার। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার আছে।

লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ ডিসেম্বর। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ নভেম্বর।

লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে রোববার (২৭ অক্টোবর) কোম্পানিটির শেয়ার দামের কোনো সর্কিট ব্রেকার থাকবে না। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম যত খুশি বাড়তে অথবা কমতে পারবে। #