বিবিএনিউজ.নেট | রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 267 বার পঠিত
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ দেখার ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি উদাসীন আচরণ করছে। বিশেষ করে ডিভিডেন্ড ঘোষণার ক্ষেত্রে বিষয়টি খুবই হতাশাজনক। কোনো কোনো কোম্পানি নো-ডিভিডেন্ড ঘোষণা করছে। এতে বিনিয়োগকারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কোম্পানিগুলোর ডিভিডেন্ডে বিনিয়োগকারীদের অধিকার রয়েছে। তাই বিষয়টি খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।
এ পর্যন্ত ৩৩টি কোম্পানি ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড থেকে বঞ্চিত করেছে। কয়েকটি কোম্পানি সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। সব কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে নো-ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা কোম্পানির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নো-ডিভিডেন্ড ঘোষণার কোম্পানিগুলো হলো- শমরিতা হসপিটাল, বেঙ্গল উইন্ডসোর, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, শ্যামপুর সুগার, জিলবাংলা সুগার মিলস, জুট স্পিনার্স, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, জেমিনি সি ফুড, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো সিনথেটিক্স, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, উসমানিয়া গøাস, আরামিট সিমেন্ট, ইস্টার্ন ক্যাবলস, সাফকো স্পিনিং, বিডি সার্ভিসেস, জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, জাহিন স্পিনিং, সরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, মালেক স্পিনিং, দুলামিয়া কটন, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ, আরএন স্পিনিং, সায়হাম টেক্সটাইল, সায়হাম কটন, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল ও ফেমিলিটেক্স লিমিটেড।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৯টি কোম্পানি সমাপ্ত অর্থবছরের ব্যবসায় লোকসান করেছে। তবে মুনাফা করেও ডিভিডেন্ড দেয়নি, এমন কোম্পানি রয়েছে ৪টি। এগুলো হচ্ছে- বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিকস, গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন ও শমরিতা হাসপাতাল।
এই চার কোম্পানির মধ্যে শমরিতা হাসপাতাল বিনিয়োগকারীদের অবাক করেছে। করোনার সময় সব বন্ধ থাকলেও ওষুধ ও হাসপাতালের ব্যবসা বন্ধ ছিল না। তাই স্বাভাবিকভাবেই শমরিতা হাসপাতালের নো-ডিভিডেন্ডে সবচেয়ে বেশি হতাশ বিনিয়োগকারীরা।
করোনার অজুহাতে কোনো কোনো কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে শমরিতা হাসপাতালের মতো ওষুধ কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস। কারণ করোনায় ওষুধের চাহিদা বাড়লেও অস্বাভাবিক লোকসান দেখিয়েছে কোম্পানিটি। আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৪৮ পয়সা মুনাফা হলেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯ টাকা ২৪ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়া বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।
Posted ৪:৩৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed