শ্যামল রুদ্র, খাগড়াছড়ি | শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট | 506 বার পঠিত
ফটিকছড়ি উপজেলার কৈয়াছড়া ডলু ও কর্ণফুলী বাগান চা নিলামে যথাক্রমে প্রথম আর চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। ২০১৯-২০২০ সালের সর্বমোট ৪৫টি নিলাম অকশনের মধ্যে ৩০টির প্রতিবেদন বিশ্লেষণে এই তথ্য পাওয়া যায়। বাগান দু’টির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সূত্রে প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিলামে দেশের ১৬৭টি চা বাগানের মধ্যে শীর্ষে আছে উপজেলার ভ‚জপুর থানাধীন কৈয়াছড়া ডলু চা বাগান। নিলামে এই বাগানে সর্বমোট ৫ লাখ ৮২ হাজার কেজি চা বিক্রি হয়েছে বলে জানা যায়। যার গড় বিক্রয়মূল্য ২৯৭ টাকা ৯৭ পয়সা। ১৭শ একরের বাগানটির চলতি বছরের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৭ লাখ কেজি। বাগানে রয়েছে সাড়ে ৬শ শ্রমিক।
অপরদিকে ব্র্যাকের তত্ত¡াবধানে কর্ণফুলী চা বাগানের নিলামে অবস্থান চতুর্থ। নিলামে বাগানটির প্রায় ১৪ লাখ কেজি চা বিক্রি হয়েছে বলে জানা যায়। যার গড় বিক্রয়মূল্য ২৬৭ টাকা। ৬ হাজার ৫৭২ একরের বৃহৎ এই বাগানের চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্র ছিল প্রায় ২০ লাখ কেজি । বাগানে স্থায়ী ৪ হাজার ও অস্থায়ী ২ হাজার শ্রমিক রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৈয়াছড়া ডলু চা বাগানের ম্যানেজার মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, চা নিলামে আমরা প্রতি বছরই প্রথম হতে পঞ্চম স্থানের মধ্যে থাকি। চারা হতে শুরু করে পাতা উত্তোলন প্রক্রিয়াজাত করণ পর্যন্ত সবকিছুই নিয়ম, শৃঙ্খলা আর কড়া নজরদারির মধ্যে থাকে। ফলে ভাল ফলাফলটি আমাদেরই হয়।
চট্টগ্রাম চা সংসদের চেয়ারম্যান হালদাভ্যালী বাগানের সিনিয়র ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভাল মানের চা উৎপাদনের লক্ষে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। উৎপাদন ভাল হয়েছে, নিলামে ভাল দামও পেয়েছি। মোটামুটি আমরা সফল। আমাদের লক্ষ্য আরো ভাল করার।
উল্লেখ্য, সারাদেশে ১৬৭টি চা বাগানের মধ্যে চট্টগ্রামে রয়েছে ২২টি। যার মধ্যে ১৭টির অবস্থান ফটিকছড়ি উপজেলায়। ফলে চট্টগ্রামের জেলা থেকে মোট উৎপাদনের বেশির ভাগই আসে ফটিকছড়ি হতে। চট্টগ্রামের ২২টি চা বাগান হতে বছরে চা উৎপাদন হয় প্রায় ৮২লক্ষ কেজি। যারমধ্যে ফটিকছড়ির ১৭টি চা বাগান হতে আসে ৭৬ লাখ ৫৮ হাজার ৯শ কেজি। ১৭টি চা বাগানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে ৩৫ হাজার শ্রমিকের। ফটিকছড়ির হালদা ভ্যালি চা বাগানে ড্রাগন অয়েল গ্রিণ টি, সিলভার নিডল হোয়াইট টি, গোল্ডেন আইব্রো অর্থোডক্স টি ও সিটিসি বø্যাক টি নামের চার ধরনের চা উৎপাদিত হচ্ছে। যার মধ্যে সিলভার নিডল হোয়াইট টি বিদেশেও রফতানি হচ্ছে বলে জানা যায়। চা বাগান মালিকরা মনে করছেন পরিত্যক্ত সরকারি খাস জমি গুলি বাগানের আওতায় আনা গেলে এই শিল্প আরো সমৃদ্ধ হতো।
Posted ৩:২০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed