বুধবার ১ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘জেড’ ক্যাটাগরির এনটিসিসহ  ২২ কোম্পানির কার্যক্রম পরিবদর্শন করবে ডিএসই

  |   মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   49 বার পঠিত

‘জেড’ ক্যাটাগরির এনটিসিসহ  ২২ কোম্পানির কার্যক্রম পরিবদর্শন করবে ডিএসই

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-কে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির ২৩টি কোম্পানির সামগ্রিক কার্যক্রম পরিদর্শন ও যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

কোম্পানিগুলো কেন বিনিয়োগকারীদের রিটার্ন দিতে পারছে না এবং সময়মতো বার্ষিক সাধারণ সভা করতে পারছে না, তা খতিয়ে দেখবে ডিএসই। ডিএসইর পরিদর্শন প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিএসইসি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলো হলো অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স, আরামিত সিমেন্ট, আজিজ পাইপস, বাংলাদেশ সার্ভিসেস, বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং, বিআইএফসি, জিবিবি পাওয়ার, ইনটেক লিমিটেড, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং, ন্যাশনাল টি কোম্পানি, নুরানি ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, পিপলস লিজিং, রেনউইক জাজনেশ্বর, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রিং শাইন টেক্সটাইল, আরএসআরএম, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, সাফকো স্পিনিংস, শুহ্নদ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড। বিএসইসি’র আদেশে বলা হয়েছে, এসব কোম্পানি যথাসময়ে বার্ষিক সাধারণ সভা করতে ব্যর্থ হয়েছে, টানা দুই বছর ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে অবহেলা করেছে, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে এবং পুঞ্জীভূত লোকসান বা ঋণাত্মক আয় পরিশোধিত মূলধনের বেশি, যেগুলো সাধারণভাবে জাঙ্ক শেয়ার হিসাবে বিবেচিত। কোম্পানিগুলোর মধ্যে কয়েকটি কোম্পানি তালিকাভুক্তির পর থেকেই বিনিয়োগকারীদের কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। এরমধ্যে রয়েছে মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ও মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ। এছাড়া, অ্যাপেলো ইস্পাত কমপ্লেক্স ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ঋণ পরিশোধের জন্য ২০১৩ সালে শেয়ারবাজার থেকে ২২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। লোকসানে থাকা কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির পর শুধুমাত্র এক বছর বিনিয়োগকারীদের ৮ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

ফেনীতে অবস্থিতসোয়েটার রপ্তানিকারক কোম্পানি নুরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার ২০১৭ সালে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ৪৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। ডিএসইর পরিদর্শন ও তদন্তে দেখা গেছে, আইপিও তহবিলের ৪১ কোটি টাকার বেশি উদ্যোক্তারা আত্মসাৎ করেছে, যারা পরবর্তীতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এটিও তালিকাভুক্তির পর এক বছর ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস সমস্যাগ্রস্ত একটি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। চার বছর পর চলতি মাসে আবার লেনদেনে ফিরেছে। এর আগে ২০১৯ সালের জুলাই ডিএসই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ করে দেয়।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৮:০৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।