জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 570 বার পঠিত
সরকার ঘোষিত স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও পন্য না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। তাদের অধিকাংশের দাবি, সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রোদে দাঁড়িয়ে থেকেও পণ্য পাচ্ছেন না। অথচ লাইনের বাইরের লোকজন বাড়তি টাকা (ঘুষ) দিয়ে পণ্য নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া চাহিদার তুলনায় পন্যের পরিমাণ কম। ক্রেতাদের ইচ্ছেমতো পন্য ক্রয় করতে পারছেন না। দেখা গেছে ২ লিটার সোয়াবিন তেলের বোতল শেষ না হলে ৫ লিটারের সোয়াবিনের বোতল দিচ্ছেনা। আগে দুই লিটারের বোতল শেষ করে ৫ লিটারের বোতল দেয়া হচ্ছে। মশারির ডাউলের ক্রেতা বেশি থাকলেও সে পরিমাণ ডাউল সরবরাহ করা হচ্ছেনা।
সোমবার রাজধানীর এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এবং মধ্যবাড্ডায় টিসিবির পণ্য বিক্রির সময় সাধারণ মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। ক্রেতারা আরও অভিযোগ করেন, পরিচিত মুখ দেখে তারা পণ্য দিচ্ছে ও টাকার বিনিময়ে লাইন ব্রেক করছে।
সেখানে পণ্য কিনতে যাওয়া বাড্ডার বাসিন্দা আব্দুর রব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দাঁড় করে রাখে আর আমাদের মাল দেয় না। লাইনের বাইরে থেকে মানুষ আইনে টাকা খেয়ে মাল দিয়ে দেয় ও দুর্নীতি করে। আর আমাদের এভাবে দাঁড় করায় রাখে।
তিনি বলেন, আমাদের যদি মাল না দেয় তাহলে বলতেই পারে আমরা দাঁড়াব না। দিনের পর দিন কষ্ট করব না। সকাল ৭টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি এখন পর্যন্ত কিনতে পারি নাই। অথচ ১০-২০ টাকা ধরিয়ে দিলেই লাইনের বাইরের লোকদের মাল দেয়।
সেলিনা বেগম নামে একজন বলেন, সকাল ৭টায় এসেছি। এখন দুপুর ১টা বাজে। সারাদিন আমরা দাঁড়িয়ে আছি। একটু পর বলবে মাল শেষ। গতকাল আমরা সারাদিন এ রকম পরিশ্রম করছি আজও এই পালা। সরকার যদি না দিত কোনো কথা ছিল না। কিন্তু ঘোষণা দিয়ে আমাদের এভাবে কষ্ট দেয়ার মানে কী?
সেখানে ডিউটিরত পুলিশ বলেন, মানুষের তুলনায় পণ্যের ট্রাক কম হওয়ায় এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন টিসিবির পন্য ক্রয় করতে আসা আরিফ নামের একজন ক্রেতা বলেন, সকাল ৬টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। গতকাল লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও পন্য ক্রয় করতে পারিনি। তাই আজকে সকাল ৬টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এখানে পন্য বিক্রিতে অনিয়ম হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় পন্যের পরিমাণ কম। কারো হয়তো ৫ লিটার সোয়াবিন প্রয়োজন্য অথচ সে ইচ্ছে করলেই তা পাবেনা যদি দুই লিটারের বোতল শেষ না হয়। যে কারণে অনেকেই দুই লিটারের বোতল ২টি করে নিচ্ছে। আবার কারো ২লিটারের বোতল প্রয়োজন কিন্ত সে লাইনের শেষে থাকার কারণে ২ লিটারের বোতল নিতে পারছেনা। তাছাড়া ভোগান্তি তো রয়েছেই। এ ব্যাপারে সরকারের নজরদারি করা উচিত।
Posted ৩:৫৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan