শনিবার ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তেজগাঁও শিল্প এলাকায় প্লট প্রাপ্তদের তালিকাসহ সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   141 বার পঠিত

তেজগাঁও শিল্প এলাকায় প্লট প্রাপ্তদের তালিকাসহ সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

দেশের বহুল আলোচিত ঘটনা, রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় হাতিরঝিল প্রকল্পের ৪৩৫টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এ প্লটগুলো কাদেরকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, বর্তমানে সেগুলো কী অবস্থায় আছে, তার ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী একমাসের মধ্যে হাতিরঝিলের লে আউট প্ল্যানও দাখিল করতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। উচ্চ আদালতের আদেশে আরও বলা হয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন হলফনামাসহ জমা দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়াও এ বিষয়ে আগামী ১৫ মার্চ পরবর্তী শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কেও প্রতিবেদন দাখিলের এ নির্দেশ দিয়েছেন।

হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বৈত বেঞ্চ রাজধানীর হাতিরঝিল প্রকল্পের ৪৩৫ প্লটের বরাদ্দ-অবস্থা সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘ ৩দিন শুনানি গ্রহণের পর গত বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নির্দেশনাসহ এ আদেশ দেন। গণমাধ্যমকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহযোগিতা করেন, আইনজীবী রিপন বাড়ৈ, অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল ও অ্যাডভোকেট নাছরিন সুলতানা। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করীম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নজরুল ইসলাম খন্দকার।

মনজিল মোরসেদ জানান, ২০১২ সালে দু’টি দৈনিক পত্রিকায় ওই এলাকার প্লট বরাদ্দ নিয়ে পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেটি আমলে নিয়ে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। সেই রুল শুনানিতে বুধবার বরাদ্দ পাওয়া ৪৩৫ প্লট মালিকের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

২০১২ সালের ৯ মে তৎকালীন একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হাতিরঝিল- বেগুনবাড়ী প্রকল্পের রাস্তার জমি ও নকশাবহির্ভূত জমি প্লট আকারে বরাদ্দ দেওয়া ও নেওয়ার বিষয়ে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন। এরপর আদালত আদেশ দেন।

২০১০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদেন বলা হয়, ১৯৯৪ সালে সংশোধিত তেজগাঁও শিল্প এলাকার নকশা থেকে দেখা গেছে, সাতরাস্তা থেকে মহাখালী যাওয়ার পথে পূর্বদিকে লাভ লেন ধরে দুইশ গজ এগোলেই একপাশে সারিবদ্ধ ১৩৬, ১৩৭, ১৩২ ও ১২৯ নম্বর হোল্ডিং। অপরপাশে ১৩৭, ১৩৮, ১৭১ ও ১৭২ নম্বর হোল্ডিং। দুই পাশের হোল্ডিংগুলোর মাঝ দিয়ে হাতিরঝিল অভিমুখী ৬০ ফুট চওড়া রাস্তা। এ রাস্তাকেই বানানো হয়েছে প্লট।

 

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৭:০২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।