শুক্রবার ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বস্ত্রখাতে খাতের ১৩ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন খতিয়ে দেখা উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১   |   প্রিন্ট   |   153 বার পঠিত

বস্ত্রখাতে খাতের ১৩ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন খতিয়ে দেখা উচিত

করোনার মধ্যেও গত বছরের তুলনায় আয় বেড়েছে পুজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্রখাতের ১৩ কোম্পানির। যেখানে করোনার কারণে নেতিবাচক প্রভাব পরেছে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে। গতবছর মার্চের শেষ দিকে সরকার করোনা মোকাবেলায় সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে। ওই সময় বন্ধ হয়ে যায় সরকারি-বেসরকারি সব রকম শিল্প কল কারখানা। এর সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পরে বস্ত্র খাতে। করোনার কারণে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পরে। এর ফলশ্রুতিতে এদেশের পোশাক শিল্পের অনেকগুলো অর্ডার বাতিল হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বস্ত্র খাত। এর মধ্যেও বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানির আয় বৃদ্ধি হলেও তা স্বাভাবিকভাবে দেখছেনা বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মধ্যে-করোনা পরিস্থিতির আগে কোম্পানিগুলো তুলনামুলকভাবে আয় কম দেখালেও করোনার বৈরি পরিস্থিতিতে কীভাবে আয় বেড়েছে। এ আর্থিক প্রতিবেদন সঠিক কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত। যেখানে মন্দা ব্যবসার কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাটাইসহ বেতন কমিয়েছে সেখানে আয় বৃদ্ধি অযৌক্তিক।

জানা যায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের ৫৬ টি কোম্পানির মধ্যে ৪২ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী তৃতীয় প্রান্তিকে গত বছরের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৩ কোম্পানির। কোম্পানিগুলো হলো- আমান কটন ফাইবার্স, অ্যাপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস, আরগন ডেনিমস, এভিন্স টেক্সটাইলস, এইচ আর টেক্সটাইল, হাওয়েল টেক্সটাইলস, ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস, মতিন স্পিনিং মিলস, মেট্রো স্পিনিং, নিউ লাইন ক্লথিংস, কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলস, সায়হাম টেক্সটাইল মিলস এবং স্কয়ার টেক্সটাইল। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আমান কটন ফাইবার্স লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪৫ পয়সা। গত বছর যা ছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ২৮ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ১৩ পয়সা।

অ্যাপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৪ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৫১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২ টাকা ১৯ পয়সা। আয় বেড়েছে ৩২ পয়সা।

আরগন ডেনিমস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪৫ পয়সা, যা গত বছর ছিল ২৯ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ১৬ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ০৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ৬৭ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ৫৯ পয়সা।

ইভেন্স টেক্সটাইলস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ০৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১২ পয়সা।
অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় লোকসান হয়েছে ১৪ পয়সা।

এইচ আর টেক্সটাইল লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৪৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৫০ পয়সা।
অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৩১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৫৩ পয়সা।

হাওয়েল টেক্সটাইলস (বিডি) লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৪৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৩ পয়সা।
অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ০১ পয়সা।

ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ০৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৬১ পয়সা।

অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ০৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১টাকা ১০ পয়সা।

মতিন স্পিনিং মিলস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১ টাকা ০৪ পয়সা।

অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ০৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়া প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৬৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা।

মেট্রো স্পিনিং লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ২০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় লোকসান কাটিয়ে আয় বেড়েছে ৪২ পয়সা।

অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় লোকসান কাটিয়ে আয় বেড়েছে ৬২ পয়সা।

নিউ লাইন ক্লথিংস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৮ পয়সা।

অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ০৪ পয়সা।

কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ০৯ পয়সা।

অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৭৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১১ পয়সা।

সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকেশেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ২৫ পয়সা।

অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৫৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৬ পয়সা।

স্কয়ার টেক্সটাইল লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ০৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৩৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৭০ পয়সা।

অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিআয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৬৫ পয়সা।

 

 

 

 

 

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।