বিবিএনিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 342 বার পঠিত
ব্যাংকে বাড়ছে অলস টাকা। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অতিরিক্ত তারল্য বা অলস টাকা দেড় লাখ কোটি ছাড়িয়েছে। ডিসেম্বর শেষে তা আরো বেড়ে ২ লাখ কোটিতে পৌঁছাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে পোর্টফোলিও বড় হলেও দুর্বল হচ্ছে ব্যাংকের ভিত। কারণ টাকার সংকট যেমন এক ধরনের বিপদ, তেমনি বিনিয়োগ করতে না পারা অতিরিক্ত তারল্যও সমান বিপদ। যদিও কারো কারো দাবি, এ পরিস্থিতি সাময়িক। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিনিয়োগ বাড়বে, তখন আর টাকা অলস পড়ে থাকবে না।
ব্যাংকে অলস টাকার পাহাড় সৃষ্টি হবে- এটাই স্বাভাবিক। কারণ যে ঋণ দিয়েছি তা ফেরত আসছে না। তাই ব্যাংকাররা ভীষণ চিন্তিত এবং সতর্ক। দেশে বিনিয়োগ নেই, আমদানিও অপর্যাপ্ত। নতুন কোনো শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে না।
তাই ভালো গ্রাহক ঋণ নিতে চাইছেন না। উল্টো দাগি ঋণখেলাপিরা নতুন করে ঋণ চাইছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে খবর প্রকাশ হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট তারল্যের পরিমাণ ৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা।
এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের হাতে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৮৩ কোটি, বিশেষায়িত ৩ ব্যাংকের হাতে ১ হাজার ৩১২ কোটি, বেসরকারি (কনভেনশনাল) ৩৪ ব্যাংকের হাতে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩৮ কোটি, ইসলামিক ৮ ব্যাংকের (বেসরকারি) হাতে ৪২ হাজার ৪৬২ কোটি এবং বিদেশি ৯ ব্যাংকের (বেসরকারি) হাতে রয়েছে ৩৩ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা।
ব্যাংকিং নীতি অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব ব্যাংকের ২ লাখ ২ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকার ন্যূনতম তরল অর্থ সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মোট তারল্য থেকে উল্লিখিত অঙ্ক বাদ দিলে যা থাকে, তাই হলো অতিরিক্ত তারল্য বা অলস টাকা। সে হিসাবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য বা অলস অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা।
করোনার কারণে সাময়িক অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে বলে অনেকে ধারণা। তারা বলছেন এ তারল্য থাকবে না। তবে এ ধারণা নির্ভর করে বিনিয়োগমন্দা কাটিয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জ কতটা নেয়া যাবে তার ওপর।
Posted ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed