নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | প্রিন্ট | 55 বার পঠিত
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ফর প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট লি. (বিআইপিডি) আয়োজিত “বীমা শিল্পে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ: কেন এবং কিভাবে” শীর্ষক একটি অনলাইন কর্মশালা মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) হয়। কর্মশালায় মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. মো. সোহরাব উদ্দিন অওঅ (টক), ঋঈঅ (টঝঅ)।
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জালালুল আজিম, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাজিম উদ্দিন এবং সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত এমডি এবং সিএফও রফিক আহম্মেদ।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইপিডি’র কোম্পানি সচিব আমিরা সায়িদা। কর্মশালাটির মূল আলোচ্য বিষয় ছিল :
১. ব্যয় বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকার এবং জীবন বীমার ব্যয় নিয়ন্ত্রনের পথ ও পদ্ধতি
২. নন-লাইফ বীমার ব্যয় নিয়ন্ত্রনের পথ ও পদ্ধতি
৩. ব্যবসা বৃদ্ধির দ্বারা ব্যয় নিয়ন্ত্রণের সম্ভাবনা
৪.FIXED COST বাড়ে কেন? কমে কি ভাবে? এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ঈড়ংঃ ইবহবভরঃ Benefit Analysis এর ভূমিকা ও প্রয়োজনীয়তা
কর্মশালাটিতে বিভিন্ন্ মতামত এবং প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। যেমন:
কোম্পানীর জন্য বরাদ্দকৃত বাজেটের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রবনতা, প্রিমিয়ামের পরিমানের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যয়, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর আয় কমার কারণ। বেশ কিছু কেম্পানিতে অতিরিক্ত ব্যয় হয়ে থাকে যেখানে আইডিআরএ এর সঠিক তদারকি প্রয়োজন। ব্যয় কমাতে প্রয়োজন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের একত্র আলোচনা এবং সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে সাধারণ নীতিমালা প্রয়োগ। অতিরিক্ত কমিশন প্রয়োগের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোতে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের স্বল্পমেয়াদি চুক্তিতে নিয়োগ দেয়া হয় যার কারণে তাঁরা দীর্ঘমেয়াদী উন্ন্য়ন পরিকল্পনা করতে পারেনা। ইন্স্যুরেন্স একটা দেশের অর্থনীতির জন্য অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ অংশ এ বিষয়টা মাথায় রাখা উচিত এবং ব্যয় বাড়ার কারণ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।
আলোচকবৃন্দ নিম্নরুপ সুপারিশমালা পেশ করেন:
১. আইডিআরএ কর্তপক্ষের গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষে অ্যাডভাইজরি বোর্ড গঠন করা প্রয়োজন। একই সাথে কার্যকর রিসার্চ সেল তৈরি করা প্রয়োজন।
২. একচুয়্যারি কর্তৃক পন্য ব্যয় প্রণয়নের সময় বিনিয়োগ আয় ও মৃত্যুহার অনুসারে ব্যয় নির্ধারণ এবং ব্যয় নিরুপন করা প্রয়োজন। সকল কোম্পানি মিলে একটা সাব কমিটি গঠন করে ওভারহেড কমানোর সম্ভাব্য উপায় আলোচনা করা উচিত। একই সাথে ব্যাংকারদের কমিশন দেয়া রোধ করতে হবে।
৩. ভোক্তার কাছ থেকে টাকা বেশি নেয়া এবং দাবি কম পরিশোধের অনুপাত হওয়া অনুচিত। এজেন্ট কমিশন প্রয়োজনে পুনর্বিন্যাস করা প্রয়োজন।
৪. Insurance Association Ges Insurance Forum কে সম্মিলিতভাবে আলোচনার মাধ্যমে বীমা উন্নয়নের লক্ষে সুপারিশ প্রনয়ণ এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরন করতে হবে।
৫. বিআইপিডি গবেষক ও পরামর্শক হিসেবে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহন করতে পারে।
বিভিন্ন লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিসমূহের অর্ধশতাধিক নির্বাহী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
Posted ৭:৩৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪
bankbimaarthonity.com | rina sristy