বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যাংককে গোল্ড অ্যাওয়ার্ড জিতল ডি মানি বাংলাদেশ

বিবিএনিউজ.নেট   |   শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   351 বার পঠিত

ব্যাংককে গোল্ড অ্যাওয়ার্ড জিতল ডি মানি বাংলাদেশ

এশিয়া প্যাসিফিক কাউন্সিল ফর ট্রেড ফ্যাসিলেশন অ্যান্ড ইলেকট্রনিক বিজনেস (এএফএসিটি) আয়োজন ও তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ইএশিয়া গোল্ড অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন (প্রাইভেট সেক্টর) বিভাগে পুরস্কৃত হলো ডি মানি বাংলাদেশ লিমিটেড।

তিন বছর বা তার কম সময়ের মধ্যে যাত্রা শুরু করা এশিয়ার ২৪টি দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সুইসোটেল ব্যাংকক র‌্যাটচাডা হোটেলে অনুষ্ঠিত এ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বৈশ্বিক ফিনটেক বিশেষজ্ঞ, বিনিয়োগকারী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিআইও ও সিএক্সও এবং এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর আগস্ট মাসে অ্যাপাক বিজনেস হেডলাইন ম্যাগাজিন তাদের ‘২০১৯-এর সম্ভাব্য সুবিধাজনক ওয়ালেট’- এর তালিকায় ডিমানির নাম উল্লেখ করে। ডি মানি এ শীর্ষ ১০- এ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র ওয়ালেট হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করে।

ডিজিটাল রূপান্তরের সচেতনতা বৃদ্ধিতে, বাণিজ্য সুবিধার উন্নয়নে এএফএসিটি সদস্য দেশের স্বীকৃতির প্রচারণায় এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ‘ডিজিটাল ডিভাইড’ দূরীকরণে নানা উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে ইএশিয়া অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন করে এএফএসিটি।

ই-এশিয়া অ্যাওয়ার্ডের উদ্দেশ্য এএফএসিটি কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য ও কার্যকরী সব উদ্যোগসমূহকে স্বীকৃতিদান এবং নিজেদের মধ্যে সর্বোত্তম অনুশীলনীগুলোর বিনিময়ে উৎসাহদান। এ বছর চারটি মূল বিভাগে ই-এশিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। বিভাগগুলো হচ্ছে: ট্রেড ফ্যাসিলেশন অ্যান্ড ইকমার্স, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন (পাবলিক সেক্টর), ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন (প্রাইভেট সেক্টর) এবং ক্রিয়েটিং ইনক্লুসিভ ডিজিটাল অপোরচুনিটিজ।

পুরস্কার প্রদানে স্পেশাল অনারারি বিশেষ বিভাগও ছিল। বাংলাদেশের প্রযুক্তি ইকোসিস্টেমে নতুন উদ্ভাবন ও অবদানের জন্য ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন (প্রাইভেট ক্যাটাগরি) বিভাগে গোল্ড অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয় ডি মানি। এ বছরের ইএশিয়া অ্যাওয়ার্ডসে বিজয়ী নির্বাচনে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট মূল্যায়ন কমিটি ছিল। ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন বিভাগের শর্তানুযায়ী, এএফএসিটি ডি মানিকে ইন্টারনেট, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ইকোসিস্টেম তৈরিতে পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা, প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং গ্রাহকসেবা উন্নয়নের মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

যেকোনো দেশের জন্য স্বল্পোন্নত অর্থনীতি থেকে মধ্যম আয়ের অর্থনীতিতে উত্তরণের জন্য ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার মধ্যে রয়েছে আর্থিক ও জীবনযাত্রার সুবিধা সংক্রান্ত চাহিদাও। আর এ চাহিদা মেটানোর লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করে ডি মানি। অংশীদারভিত্তিক ইকোসিস্টেম তৈরিতে এবং নগদ অর্থব্যবস্থা থেকে ডিজিটাল অর্থে রূপান্তরের বাধা দূরীকরণে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি। কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই ডি মানি বৈশ্বিক নানা স্বীকৃতি পেয়েছে এবং দেশের ডিজিটাল আর্থিক সেবাখাতে মানদ- তৈরিতে অংশীদারিত্ব করেছে নানা প্রতিষ্ঠানের সাথে। গ্রাহক ও অংশীদারদের কথা চিন্তা করে এপিআই ভিত্তিক এ প্ল্যটফর্মটি অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য। সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশে তৈরি ডিমানি দেশের প্রথম লাইফস্টাইল অ্যাপ। অ্যাপটি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল লাইফস্টাইল এবং পেমেন্ট প্রয়োজন মেটাতে কাজ করে যাচ্ছে।

ডিমানি বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। বাংলাদেশে আমি গোল্ড অ্যাওয়ার্ড নিয়ে আসতে পেরে আনন্দিত। আমাদের এ প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে এবং এটা বৈশ্বিক স্বীকৃতি পাচ্ছে।’

এ নিয়ে ডিমানি বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরেফ আর বশির বলেন, ‘বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। এ স্বীকৃতি ডি মানি দলের কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিষ্ঠানের দৃঢ় লক্ষ্যের প্রমাণস্বরূপ। আমি কৃতজ্ঞতার সাথে দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের উদ্দেশ্যে এ পুরস্কার উৎসর্গ করছি যাদের কাছে আমরা আর্থিক সেবা গণতন্ত্রায়ণের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

প্রসঙ্গত, ডিমানি একটি ব্যক্তি মালিকাধীন ডিজিটাল পেমেন্ট ও সেবাদান প্ল্যাটফর্ম। ডিমানির সফটওয়্যারের নিজস্ব মেধাসত্ত্ব রয়েছে। ডিমানি বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) লাইসেন্সের অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নগদ অর্থ থেকে ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে রূপান্তরে প্রভাবক হিসেবে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৬ সালে ডিমানি প্রতিষ্ঠা হয় নগদ অর্থ থেকে ডিজিটাল রূপান্তরে।

২০০২ সালে চীনা তাইপে ই-এশিয়া অ্যাওয়ার্ডসের প্রচলন করে এবং এর প্রথম প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে। গত ১৬ বছরে, ১৫৯টি প্রকল্প এ অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে এবং দু’ বছর পরপর এএফএসিটি’তে ৮৯টি প্রকল্প নির্বাচিত হয়েছে তাদের অসাধারণ নৈপুণ্যের জন্য। আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে চাই এএফএসিটি- এর সদস্য ও দেশসমূহে ইনফরমেশনাইজেশন ও ইলেক্ট্রোনাইজেশনে অনুশীলনে উৎকর্ষ প্রচারণার লক্ষ্যে কাজ করে সফলতা অর্জন করেছি।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১২:২২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11192 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।