বিবিএনিউজ.নেট | মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 224 বার পঠিত
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ হলেও ব্যাংকিং খাতে কী ধরনের আইন বা নীতিগত পরিবর্তন হবে সেটা বাংলাদেশ ব্যাংক করে না। সেটি ব্যাংক মালিকরা কোনো একটি পাঁচতারা হোটেল বসে নির্ধারণ করে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
মঙ্গলবার টিআইবির ‘ব্যাংকিং খাত তদারকি ও খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ: বাংলাদেশ ব্যাংকের সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন ভার্চুয়ালি প্রকাশ করা হয়। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের উপস্থিতিতে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান। প্রতিবেদন প্রকাশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ব্যাংক মালিকদের এক চক্র গড়ে উঠেছে তারাই রাতারাতি আইনকানুন পরিবর্তন করে ফেলছে- এমন প্রশ্নে জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সামনে খুব ইতিবাচক কিছু না দেখতে পেলেও আমাদের আশা রাখতে হবে। তবে ব্যাংক খাতে কী সিদ্ধান্ত হবে বা আইনগত বা নীতিগত পরিবর্তন সেটি কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে না। এটি পাঁচতারা হোটেলে বসে বা যেখানেই হোক তাদের (ব্যাংক মালিকদের) সিদ্ধান্তেই হয়। পরবর্তীতে সেটিই নীতি হিসেবে পরিচালিত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক্ষেত্রে সরকার একদিক থেকে যোগসাজশে অন্যদিক থেকে জিম্মিদশায় থেকেই ভূমিকা পালন করে। একইভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক সেটি মেনে নিতে বাধ্য হয়। যার ফলে ক্রমাগতভাবে ব্যাংকিং খাতকে খারাপের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমাদের মনে রাখতে হবে ব্যাংকের টাকা জনগণের টাকা। সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যাংক পরিচালকদেরও মনে রাখতে হবে ব্যাংকের টাকা জনগণের টাকা। তাই ব্যাংক খাতকে টেকসই রাখতে এ অবস্থা চলতে দেয়া যাবে না। এটা চলতে থাকলে ধস নেমে আসতে বাধ্য।’
এ প্রতিবেদনে ব্যাংকিং খাতে করোনার প্রভাবে বিষয় তেমন কোনো তথ্য নেই- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি করা হয়েছে গত জুন মাসের আগ পর্যন্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। তাই তখন পর্যন্ত করোনার প্রভাবের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়নি। তবে পরবর্তীতে এ বিষয়ে তারা কাজ করবেন।’
Posted ২:২৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed