শুক্রবার ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভর্তুকি কমাতে আবারো গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব

আব্দুল্লাহ ইবনে মাস্উদ   |   বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   890 বার পঠিত

ভর্তুকি কমাতে আবারো গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব

গ্রাহক রান্নার জন্য চুলায় গ্যাস না পেলেও আবারো গ্যাসের দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবার দাম ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে তিতাসসহ বিতরণ কোম্পানিগুলো নতুন এই প্রস্তাব দিয়েছে। আগামী মার্চ মাসে দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানি করার পরিকল্পনা করছে বিইআরসি।

নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী দাম বাড়লে আবাসিক এক বার্নারের চুলার বিল ৭৫০ থেকে বেড়ে ১০০০ টাকা হবে। দুই বার্নার চুলার বিল ৮০০ থেকে বেড়ে ১২০০ টাকা হবে । এছাড়া দাম বাড়বে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ক্যাপটিভ পাওয়ার, সিএনজি, শিল্প ও সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম। তবে সবচেয়ে বেশি দাম বাড়তে পারে বিদ্যুৎ, সার ও সিএনজি গ্রাহকদের।
এর আগে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসে সরকার।

জানা গেছে, গত বছরের ১৮ আগস্ট থেকে পাইপলাইনে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) যুক্ত হয়েছে। প্রতি ইউনিট ৩২ টাকা দরে আমদানি করে ৭ টাকা ১৭ পয়সা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে সরকারকে বিপুল অংকের টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। আর এ ভর্তুকি কমাতে সব ধরনের গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে রাজধানীতে প্রদিদিন গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বহু এলাকায় দিনের বেলায় চুলাতে গ্যাস থাকছে না। ফলে বাসায় রান্না করতে পারছেন না শহরের বহু লোকজন। বেশিরভাগ সময় বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে খেতে হচ্ছে তাদের। নিত্য প্রয়োজনীয় এই কাজের জন্য কেউ বা খুঁজে নিয়েছেন বিকল্প ব্যবস্থা।

ঢাকায় বাসাবাড়িতে গ্যাসের সংকট নতুন কিছু নয়। তবে আগে ছিল শুধু শীতকালে, এখন সারা বছর। গ্যাসের দাম গতবছর দেড় গুণ বাড়লেও গৃহিণীদের দুর্ভোগ কমেনি বরং বেড়েছে। তিতাসের পাইপলাইন গ্যাস সুবিধা থাকা সত্ত্বেও রাজধানীর বহু এলাকায় এখন সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন গৃহিণীরা। কারণ তিতাসের গ্যাস সারাদিনই থাকে না। অনেকেই বলছেন, তারা বড় বিপাকে আছেন। কারণ তিতাসের লাইনের গ্যাস না পেলেও প্রতি মাসে তাদের বিল গুনতে হচ্ছে। রাজধানীতে শীতে গ্যাস সংকট যেন অতি সাধারণ বিষয়। প্রতিবার শীতের সময় এ নিয়ে অভিযোগ করেন ভোক্তারা। তবে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা জানান, এ সময় গ্যাসের চাহিদা বেড়ে যাওয়া, সরবরাহ লাইনে ত্রুটি এবং অবৈধ সংযোগের কারণেই নাকি এই সমস্যা দেখা দেয়। এ নিয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের এক কর্মকর্তার গৎবাঁধা উত্তর, শীত চলে গেলেই গ্যাস সংকটের সমাধান হবে। কিন্তু গ্যাস সংকট কেবল শীতেই হয়, এমনটি নয়, গরমের সময় রাজধানীর অনেক এলাকায় গ্যাস সরবরাহে স্বল্পতা লক্ষ্য করা যায়। অনেক এলাকায় তো দিনেমানে চুলায় কোনো গ্যাসই থাকে না। তাদের রান্না করার জন্য গভীর রাত অব্দি জেগে থাকতে হয়। কেউ কেউ রান্না করেন ভোর রাতে। এ নিয়ে বনশ্রীর সি-ব্লকের ৮নং রোডের বাসিন্দা গৃহিণী সোনিয়া আক্তার বলেন, ‘আমরা তো সকালে গ্যাসের চুলায় কোনো রান্নাই করতে পারি না। সব রান্না করি রাতে। বাচ্চাদের স্কুলের টিফিন ও গৃহকর্তার অফিসের খাবার প্রায়ই দোকান থেকে কিনে থেকে হয়।’

জানা যায়, রাজধানীতে গ্যাস সমস্যার একটি বড় কারণ চুরি। আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় অবৈধভাবে গ্যাসের ব্যবহার বাড়ছে। গ্যাস কোম্পানি ও জ্বালানি বিভাগ, সিএনজি স্টেশন মালিক ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ম‚লত চারটি কারণে বর্তমানে গ্যাসের সংকট প্রকট। এগুলো হলো- চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ঘাটতি, বিতরণ পাইপ লাইনে সীমাবদ্ধতা, বসতি বেড়ে যাওয়া ও অবৈধ সংযোগ।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৬:১৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11169 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।