বুধবার ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় সঙ্গীত জগতের পুরোধা ও মহান শিল্পী ভূপেন হাজারিকা

বিবিএনিউজ.নেট   |   বৃহস্পতিবার, ০৫ নভেম্বর ২০২০   |   প্রিন্ট   |   615 বার পঠিত

ভারতীয় সঙ্গীত জগতের পুরোধা ও মহান শিল্পী ভূপেন হাজারিকা

“মানুষ মানুষের জন্য…/ জীবন জীবনের জন্য…/ একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না/ ও বন্ধু…/ মানুষ মানুষের জন্য..” গানের মহান শিল্পী ভূপেন হাজারিকার ১০ম প্রয়াণ দিবস আজ। কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পীর জন্ম ভারতের অসমে জন্ম ৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৬ এবং মৃত্যু ৫ নভেম্বর ২০১১ সালে। একজন স্বনামধন্য কণ্ঠশিল্পী ও ভারতীয় সঙ্গীত জগতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ও বিশ্বশিল্পী ভূপেন হাজারিকা।

অত্যন্ত দরাজ গলার অধিকারী এ শিল্পীর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। অসমিয়া চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে গানের জগতে প্রবেশ করেন তিনি। পরবর্তীকালে বাংলা ও হিন্দি ভাষায় গান গেয়ে ভারত এবং বাংলাদেশে অসম্ভব জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
তাঁর পিতার নাম নীলকান্ত হাজারিকা, মায়ের নাম শান্তিপ্রিয়া হাজারিকা। পিতা-মাতার ১০ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাঁর অন্য ভাইবোনেরা হলেন- অমর হাজারিকা, প্রবীণ হাজারিকা, সুদক্ষিণা শর্ম্মা, নৃপেন হাজারিকা, বলেন হাজারিকা, কবিতা বড়ুয়া, স্তুতি প্যাটেল, জয়ন্ত হাজারিকা ও সমর হাজারিকা। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ভূপেন হাজারিকা কানাডায় বসবাসরত প্রিয়ম্বদা প্যাটেলকে বিয়ে করেন। একমাত্র সন্তান তেজ হাজারিকা নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।

তিনি ১৯৪২ সালে গুয়াহাটির কটন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট আর্টস, কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৪ সালে বিএ এবং ১৯৪৬ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাস করেন। ১৯৫২ সালে নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. ভূপেন হাজারিকা তাঁর ব্যারিটোন কণ্ঠস্বর ও কোমল ভঙ্গির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তাঁর রচিত গানগুলি ছিল কাব্যময়। তিনি আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়ে লোকসঙ্গীত গাইতেন।
ভূপেন হাজারিকার গানগুলোতে মানবপ্রেম, প্রকৃতি, ভারতীয় সমাজবাদের, জীবনধর্মী বক্তব্য বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। এছাড়াও শোষণ, নিপীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদী সুরও উচ্চারিত হয়েছে বহুবার।

পুরস্কার :

২৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ আঞ্চলিক চলচ্চিত্র ‘চামেলী মেমসাহেব’ ছবির সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি(১৯৭৫)।
পদ্মশ্ৰী (১৯৭৭)
‘শ্রেষ্ঠ লোকসঙ্গীত শিল্পী’ হিসেবে ‘অল ইন্ডিয়া ক্রিটিক অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার’ (১৯৭৯)
অসম সরকারের শঙ্করদেব পুরস্কার (১৯৮৭)
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (১৯৯২)
জাপানে এশিয়া প্যাসিফিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে রুদালী ছবির শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার অর্জন। তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই পুরস্কার পান। (১৯৯৩)
পদ্মভূষণ (২০০১)
অসম রত্ন (২০০৯)
সঙ্গীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার (২০০৯)

১৯৯৩ সালে ড. ভুপেন হাজারিকা অসম সাহিত্য সভার সভাপতি হন।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সালে অল আসাম স্টুডেন্টস্ ইউনিয়নের উদ্যোগে গুয়াহাটির দীঘলিপুখুরী (ঐতিহাসিক দীঘি) জিএসবি রোডে একটি স্মারক ভাস্কর্য তৈরী করে। আসামের ভাস্কর্যশিল্পী বিরেন সিংহ ফাইবার গ্লাস ও অন্যান্য পদার্থ সহযোগে চমকপ্রদ ‘ড. ভুপেন হাজারিকা ভাস্কর্য’ তৈরী করেন।

ড. ভূপেন হাজারিকাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানী হাসপাতাল ও চিকিৎসা গবেষণা ইন্সটিটিউটের আইসিইউতে ৩০ জুন, ২০১১ সালে ভর্তি করা হয়। অতঃপর তিনি কিডনী বৈকল্যসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ৫ নভেম্বর, ২০১১ সালে স্থানীয় সময় বিকাল ৪:৩৭ ঘটিকায় ধরাধাম ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে এই গুণী শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:১২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৫ নভেম্বর ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(1619 বার পঠিত)
বিজ্ঞাপন
(1531 বার পঠিত)
বিজ্ঞাপন
(1211 বার পঠিত)
বিজ্ঞাপন
(1025 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।