বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে রেলের চার রুট ব্যবহারের উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ০৭ মে ২০২০   |   প্রিন্ট   |   403 বার পঠিত

ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে রেলের চার রুট ব্যবহারের উদ্যোগ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্থলবন্দরের পাশাপাশি ফ্লাইট পরিচালনাও বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার। যদিও পণ্য পরিবহনকে এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রাখা হলেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়নি। ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান রেলের চারটি রুটকে ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের নেয়া পদক্ষেপসমূহ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যপণ্য যেমন- তেল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল যেগুলো আমদানি করতে হয় সেগুলো যেন বন্দর থেকে দ্রুত খালাস করা যায় সে ব্যবস্থা করছি। চট্টগ্রাম বন্দর, বিমানবন্দরসহ স্থল বন্দরে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। ভারত থেকে পণ্য আনতে কয়েকদিন আগে আমরা বেনাপোল স্থলবন্দর খুলতে পেরেছিলাম, কিন্তু তিন দিন চলার পর সমস্যার কারণে সেটা বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, তবে অন্যান্য স্থলবন্দর যেটা আসাম, ত্রিপুরা দিয়ে কানেক্টেড (যুক্ত) সে পথ দিয়ে কিন্তু ভারত থেকে পণ্য আমদানি হচ্ছে। গত তিন দিন আগে আমাদের সচিব ভারতের তিনটি ডিপার্টমেন্টের সাথে রেলওয়েতে কীভাবে পণ্য আনা যায় সে বিষয়ে কথা বলেছেন। আশা করছি আগামী রোববার এ ব্যাপারে একটা ফাইনাল মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যাতে চারটা রুটে ভারত থেকে রেলপথে কার্গো আনা যায়। এ রকম একটা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে হিলি, বিরল, দর্শনা ও বেনাপোল রুটকে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ সময়য় অত্যন্ত জরুরি হচ্ছে পাট বীজ। পাট বীজ ভারত থেকেই আসে। সেটা বন্ধ হয়ে আছে। তিন দিন খোলা থাকায় বেনাপোল দিয়ে ৩০০ টনের মতো পাট বীজ আনতে পেরেছি। রেল চালু হলে আরও পাট বীজ আনা সম্ভাব হবে। এছাড়া অন্যান্য কাঁচামাল আনা সম্ভব হবে।
টিপু মুনশি বলেন, করোনা পরিস্থিতে বিভিন্ন দেশ ক্রয় আদেশ যাতে বাতিল না করে সে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের চিঠি দেয়া হচ্ছে, যাতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পোশাক কারখানায় যারা কাজে যোগ দিতে পারেনি তাদের ৬০-৬৫ শতাংশ বেতন দেয়া হবে। যারা কাজ করেছেন তারা সম্পূর্ণ বেতন পাবেন।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৪:০১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ মে ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11186 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।