শুক্রবার ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহামারিতেও ২০২০-২১ অর্থবছরে আসছে বড় বাজেট

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ০৩ মে ২০২০   |   প্রিন্ট   |   389 বার পঠিত

মহামারিতেও ২০২০-২১ অর্থবছরে আসছে বড় বাজেট

সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১১ জুন ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ গত মার্চ থেকে বাজেটের কাজ শুরু করেছে। দেশে করোনা মহামারি শুরু হলে সাধারণ ছুটিতে কিছুটা পিছিয়ে যায় কার্যক্রম। কিন্তু ফের বাজেট কার্যক্রমের জোর প্রস্তুতি চলছে। আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বড় আকারের বাজেট। তবে খুব বেশি বাড়ানো হয়নি বাজেটের আকার। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এ বছর ব্যয় খাতে বরাদ্দ ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ধরা হয় ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা।

এদিকে বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা ধার নেয়ার পরিকল্পনা করে সরকার। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাতে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়।

এনবিআর সূত্র জানায়, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৮ মাসে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা। করোনা ভাইরাসের কারণে চলমান পরিস্থিতিতে রাজস্ব আহরণ ব্যাপক হারে কমে যাবে। ফলে সরকারের ব্যয় মেটাতে আগামীতে ঋণ নির্ভরতা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাজেট ঘাটতির বিষয় নিয়ে কথা হয় বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সামনের সময়ে বাজেট ঘাটতি বাড়বে। তাই এই ঘাটতি মেটাতে সরকারের অর্থায়নের বিকল্প চিন্তা করা উচিত। ভর্তুকি বাজেটে সরকার সাশ্রয় করতে পারে। কারণ ইতোমধ্যে এক্সপোর্ট নেগেটিভে চলে আসছে। তাই ভর্তুকির অর্থ সরকারের সাশ্রয় হবে। এ ছাড়া বিদেশি ঋণের সুদ এক বছর স্থগিত রাখতে পারে, তবে সে ক্ষেত্রে আবেদন করতে হবে। বিদ্যুৎ খাতের যে ক্যাপসিটি চার্জ দেয়া হয়, তা আপতত স্থগিত করতে পারে, আন্তর্জাতিক আইন মেনে। সর্বোপরি দাতা সংস্থা কোভিড-১৯ ফাইন্যান্সকে সামাজিক সুরক্ষার কাজে লাগাতে পারে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রকোপের ফলে দেশে যে ধরনের দুর্যোগময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে বর্তমানে জাতীয় বাটেজ তৈরি করার মতো পরিস্থিতি নেই। এই মুহূর্তে যে দুর্যোগ চলছে, এই পরিস্থিতিতে আমাদের সমস্ত মনোযোগ থাকা উচিত পরিস্থিতি মোকাবিলার। এখন যে অবস্থা আছে তাতে বাজেট তৈরির মতো পরিস্থিতি আছে বলে মনে হয় না।

এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, বাজেট বলতে শুধু ব্যয়ের কথা না, আয়ের কথাও চিন্তা করতে হবে। বাজেট নিয়ে স্থিতিশীল চিন্তা করার মতো পরিস্থিতি এই মুহূর্তে নেই। সবকিছু স্বাভাবিক হলে তারপর বাজেট নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে।

সাধারণত বাজেট প্রণয়নে মার্চ মাস থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন অংশীজনদের সাথে প্রাক-বাজেট আলোচনা করে থাকে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের মহামারিতে অনিশ্চয়তায় পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনাও।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:৫৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ মে ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11192 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।