বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাঘের শুরুতেই বৃষ্টি

বিবিএনিউজ.নেট   |   বুধবার, ২০ জানুয়ারি ২০২১   |   প্রিন্ট   |   253 বার পঠিত

মাঘের শুরুতেই বৃষ্টি

মাঘের প্রথম সপ্তাহের শেষ না হতেই দেশজুড়ে হানা দিয়েছে বৃষ্টি। মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের কথা জানা গেলেও আজ বুধবার দুপুর থেকেই রাজধানীর আকাশে ছিল মেঘের ঘনঘটা। ঝিরঝিরে এই বৃষ্টি বিকাল চারটায় হঠাৎ ঝুপ করে নেমে এসে স্থবির করে দেয় রাজধানীর জীবনযাত্রা।

এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের ডেপুটি ডিরেকটর রুহুল কুদ্দুস জানান, পূবালী ও পশ্চিমা লঘুচাপের কারণেই এ বৃষ্টির সূত্রপাত। মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই হাল্কা ও মাঝারি ধরনের এই বৃষ্টি চলবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। তিনি জানান, শীতের শেষ পর্যায়ের এই বৃষ্টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সৃষ্টি করবে। রাজধানীতে কতো মিমি বৃষ্টি হয়েছে তা সন্ধ্যা সাতটার পর জানা যাবে। রাতে নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে মাঘের শুরুতে হঠাৎ বৃষ্টিতে রাজধানীর জন-জীবনে মারাত্মক দুর্ভোগ নেমে আসে। বৃষ্টি ও ঠাণ্ডায় অনেকে কাজ ফেলেই দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটোছুটি করতে থাকেন।

এদিকে বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সংবাদ পাওয়া গেছে।বৃষ্টির কারণে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের টি টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলাটি বৃষ্টির বাগড়ায় ১৬ মিনিট বন্ধ থাকে।

রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, রাজশাহীতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রাতভর টানা ঝড়ো বৃষ্টিতে নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। গুরুত্বপূর্ণ কোনও কাজ ছাড়া নগরীর সাধারণ মানুষ ঘরের বাইরে বের হননি।

রাজশাহী অঞ্চলে এমন টানা বৃষ্টিতে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। হঠাৎ নামা এ বৃষ্টি বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের প্রকোপ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজশাহীর আকাশ ছিলো মেঘের চাদরে ঢাকা। দুপুর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি নামে। সন্ধ্যায় অল্প সময়ের জন্য বৃষ্টি থামলেও রাত ১১টা থেকে শুরু হয় ঝড়ো বৃষ্টি। যা একটানা চলে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত। আচমকা এই গুঁড়ি বৃষ্টিতে নগরীর রাস্তা-ঘাটে পানি জমে যায়। বুধবার রাজশাহীর মহানগরীর স্কুল-কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো কম। বৃষ্টির কারণে অনেকেই স্কুলে যায়নি। এ ছাড়া সড়কগুলোতেও যান চলাচল ছিলো স্বাভাবিক দিনের চেয়ে অনেক কম।

এদিকে শীতের সঙ্গে গুঁড়ি বৃষ্টিতে বরাবরের মতো সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন ফুটপাত ও খোলা স্থানে বসবাসকারী বাস্তুহারা মানুষ আর শ্রমজীবীরা দুর্ভোগে পড়েন।

রাজশাহী আবহওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার দুপুরে রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে রাজশাহীতে বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৮ শতাংশ ও দুপুরে ৯৩ শতাংশ।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আফরোজা জানান, বৃষ্টির কারণে খুব বেশি শীত পড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে মেঘ কেটে গেলে শীত বাড়তে পারে।

তবে শীতের তীব্রতা বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হলেও এই বৃষ্টি সামগ্রিকভাবে ফসলের জন্য ভালো হবে বলে মনে করেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অবসরপ্রাপ্ত কৃষিবিজ্ঞানী আবু এম মুসা। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হলে আলুর জন্য ক্ষতি হত। যেহেতু বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম, আলুর জন্য ভালো বা মন্দ কোনওটাই হবে না। কিন্তু গম, ডালজাতীয় শস্য ও তেলবীজের এই জন্য বৃষ্টি উপকার বয়ে আনবে।’

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত অবিরাম হিমেল বাতাসসহ বৃষ্টির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়েছেন। শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের ঠাণ্ডার তীব্রতায় শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছে।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৪:১০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২০ জানুয়ারি ২০২১

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।