বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ মুহূর্তের আশায় খামারি-ব্যাপারীরা

বিবিএনিউজ.নেট   |   শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০   |   প্রিন্ট   |   283 বার পঠিত

শেষ মুহূর্তের আশায় খামারি-ব্যাপারীরা

কোরবানি উপলক্ষে একটু বেশি লাভের আশায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীর হাটগুলোতে পশু নিয়ে আসেন খামারি, ব্যাপারী ও গৃহস্থরা। গত কয়েকদিন তেমন বেচাবিক্রি না হলেও এখন শেষ মুহূর্তের আশায় আছেন তারা।

এতদিন কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়ায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে লোকসানে পশু বিক্রি করলেও আজকের দিন কিংবা রাতে আশার আলো দেখবেন— এমনটি মনে করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, হাটগুলোতে পশুর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যারা পশু নিয়ে বাজারে থাকবেন তারা দুটো পয়সা লাভের মুখ দেখতে পাবেন।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতে গত সাতদিন ধরে অবস্থান করছেন কুষ্টিয়া থেকে আশা আল আমীন। তিনি ২২টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। সাতদিনে ১০টি গরু বিক্রি করেছেন। ১০টি গরুতে লাভ-লোকসান মিলে সমান সমান আছে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, ১২টি গরু নিয়ে শেষপর্যন্ত অবস্থান করব। গাবতলীতে এখন গরুর সংখ্যা কম। গত দুদিনে প্রচুর বিক্রি হয়েছে। আজ শুক্রবার সারাদিন এবং রাত ছাড়াও ঈদের দিনও (আগামীকাল শনিবার) সারাদিন অপেক্ষা করব।

রাজধানীর হাজারীবাগের রাস্তায় বসানো অস্থায়ী গরুর হাটে চুয়াডাঙ্গা থেকে ১৩টি ষাঁড় এনেছেন ইসলাম নামের এক ব্যাপারী। তিনি বলেন, পাঁচদিন হলো হাটে আসা। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাঁচটি বিক্রি হয়েছে। সামান্য কিছু লাভ হয়েছে। বাকি আটটি ষাঁড়ের ওপর এখন ভরসা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রামেও গরুর মাংস সাড়ে পাঁচশ টাকা কেজি। এখানে গরু বিক্রি করতে না পারলে বাড়িতে নিয়ে যাব। পানিতে পড়ার মতো অবস্থা তো হয়নি। তবে এখনও আশায় আছি। সারাদিন ও একটি রাত তো সামনে আছে।

পাবনার ঈশ্বরদী থেকে রমজান ব্যাপারী এসেছেন রাজধানীর আফতাব নগর হাটে। তিনি ১৮টি ষাঁড় নিয়ে এসেছেন। প্রত্যেকটির দাম হাকাচ্ছেন দুই লাখের ওপরে। শুক্রবার ভোরে কথা হয় তার সঙ্গে। বলেন, এখনও আশাবাদী, ষাঁড়গুলো কাঙ্ক্ষিত মূল্যে বিক্রি হবে।

তিনি আরও বলেন, ব্যবসার সঙ্গে লাভ-লোকসানের একটা সম্পর্ক আছে। বর্তমানে আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। এর মধ্যেও পাবনা থেকে ট্রাক ভাড়া করে হাটে এসেছি। লাভে বিক্রি করতে পারলে করব, না হলে ষাঁড়গুলো ফিরিয়ে নিয়ে যাব। আরেকটা বছর পালন করে পরের বছর বিক্রি করব।

‘অনেকে আসছেন, পছন্দ করছেন, ভালো দামও বলছেন। কিন্তু কেউ কেউ এসে এমন দাম বলছেন যেন আমরা ঠেকায় পড়েছি। কসাইকে দিলেও এর চেয়ে বেশি দাম পাব। সামনের বছর পর্যন্ত এগুলোকে লালন-পালন করার সামর্থ্য তো আছে, ভয় কী?’

সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর থেকে কমলাপুর গরুর হাটে এসেছেন রহমান ব্যাপারী। বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে পশুগুলো কিনেছি। নয়টি ষাঁড় এনেছি। চারটি বিক্রি হয়েছে। আছে আর পাঁচটি। হাটে এখন পশুর সংখ্যা কম, তেমন আসছেও না। তাই এখনও ভরসা আছে, শেষপর্যন্ত ভাগ্য খুলতে পারে। ঈদের দিন পর্যন্ত আশায় থাকতে তিনিও রাজি।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11192 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।