বিবিএনিউজ.নেট | বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট | 347 বার পঠিত
রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত মোট তহবিলের মধ্যে ৬৩ কোটি টাকা ব্যবহারের সংশোধিত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মঙ্গলবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৭১৮তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় আরো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সংশোধিত প্রস্তাব অনুযায়ী উল্লিখিত অর্থের যথাযথ ব্যবহার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না।
বিএসইসির অনুমোদনক্রমে গত বছর বুক বিল্ডিং পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলন করে রানার অটোমোবাইলস। কোম্পানিটির আইপিও তহবিল ব্যবহারসংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংগৃহীত ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৩৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এর মধ্যে ৩৩ কোটি টাকা ব্যাংকঋণ ও ৪ কোটি টাকা আইপিও প্রক্রিয়ার খরচ নির্বাহে ব্যয় করা হয়। আর অব্যবহূত রয়ে যায় ৬৩ কোটি টাকা।
এ ৬৩ কোটি টাকা ব্যবহারের পরিকল্পনাতেই পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। পরিকল্পনাটি গত ডিসেম্বর কোম্পানির বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) অনুমোদিতও হয়। তবে তা বাস্তবায়নের আগে বিএসইসির অনুমোদন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা ছিল। গতকালের কমিশন সভায় এ অনুমোদন পেয়েছে তারা।
নতুন পরিকল্পনা অনুসারে, রানার অটোমোবাইলস চেসিস ওয়েল্ডিং লাইন স্থাপনে ১২ কোটি ১৮ লাখ, বডি ওয়েল্ডিং লাইন স্থাপনে ৭ কোটি ১০ লাখ, পেইন্ট বুথ স্থাপনে ২৭ কোটি ৭২ লাখ ও ভেহিকল অ্যাসেম্বল অ্যান্ড টেস্টিং লাইন স্থাপনে ১৬ কোটি টাকা ব্যয় করবে।
দেশের সম্ভাবনাময় বিশাল বাজার ধরতে ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত নিজেদের টু-হুইলার প্লান্টের পাশাপাশি সিএনজি/এলএনজিভিত্তিক থ্রি-হুইলার প্লান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে রানার অটোমোবাইলস। বিদেশী অংশীদারের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়া সাপেক্ষে নতুন প্লান্টটি স্থাপন করা হবে। কোম্পানিটির নতুন প্লান্টে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতি মাসে তিন হাজার ও বছরে ৩০ হাজার ইউনিট থ্রি-হুইলার উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে রানার অটোমোবাইলস। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৭ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ৪ টাকা ৯০ পয়সা। ৩০ জুন সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৬৫ টাকা ৪৯ পয়সা, যা আগের হিসাব বছর শেষে ছিল ৫৯ টাকা ৫৩ পয়সা।
এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৮২ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৮৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬৩ টাকা ৬১ পয়সা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার রানার অটোমোবাইলস শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৫৪ টাকা ১০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ৫৪ টাকা ৫০ পয়সা। গত বছরের মে মাসে লেনদেন শুরুর পর এখন পর্যন্ত শেয়ারটির দর ৫১ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১১৪ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩২। এর ৫০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ২৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ২৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ১২ দশমিক ৩৬, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ১২ দশমিক ১৭।
Posted ১:৩২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed