বিবিএনিউজ.নেট | সোমবার, ০৯ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 335 বার পঠিত
সম্প্রতি আলু ও ভোজ্য তেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যৌক্তিক দরনির্ধারণ করে সরকার। অথচ নির্ধারিত দরে পণ্য বিক্রির আশ্বাস দিয়েও তা মানছেন না ব্যবসায়ীরা। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের অভিযোগ, পণ্য দুটির দাম সরকার নির্ধারণের পর সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ওই দামে বিক্রি হয়নি। ব্যবসায়ীরা উল্টো দাম আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন- এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। গত মাসের শুরুতে আলুর কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় উঠে যায়। এজন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে গত ২০ অক্টোবর খুচরায় প্রতি কেজি আলু ৩৫ টাকা, পাইকারি ৩০ টাকা ও হিমাগারে ২৭ টাকা নির্ধারণ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর প্রতি কেজি খুচরা ৩০ টাকা, পাইকারি ২৫ টাকা ও হিমাগারে ২৩ টাকা নির্ধারণ করেছিল এ অধিদপ্তর।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে দর নির্ধারণের পরে কেজিতে ১০ টাকা কমে আলু ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় নেমে আসে। তখন হিমাগারে ৩০ টাকা ও পাইকারিতে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু দর নির্ধারণের পরেও পণ্যটি বেশিদামে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। এ ধরনের পরিস্থিতিতে দেশের সাধারণ ভোক্তাসমাজ কোথায় যাবেন? বিশেষ করে স্বল্প আয় ও দরিদ্র মানেুষের বেঁচে থাকার উপায় কী?
সবকিছু নিয়ন্ত্রণ ও দেখভালের ক্ষেত্রে দেশে প্রচলিত আইন রয়েছে। আমরা মনে করি আইনের সঠিক প্রয়োগই এ ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারে। দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের প্রয়োজন আছে। তবে সেটি নিয়ম নৈতিকতা মেনেই হওয়া উচিত। কারণ সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েন, এমন তৎপরতা থেকে ব্যবসায়ীদের দূরে থাকা প্রয়োজন। দুনিয়াজুড়েই ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলে নয়। ব্যবসায়ীদেরও ভাবা প্রয়োজন, মানুষ যেনো বিপদে না পড়ে। মানুষকে বিপদে ফেলে কোনো ধরনের ব্যবসা করা কাম্য নয়। এতে বাজার ব্যবস্থাপনার অরাজকতাই প্রকাশ পায়। তাই সংশ্লিষ্টদেরও উচিত এসব বিষয় মাথায় রেখে বাজার তদারকি জোরদার করা।
Posted ৫:০৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৯ নভেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed