| বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট | 320 বার পঠিত
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন এখন হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানিকেন্দ্রিক। ঢাকার বাজারে গত সোমবার মোট লেনদেনের ৪৬ শতাংশ বা প্রায় অর্ধেকই ছিল চার কোম্পানির। কোম্পানিগুলো হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি), লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স ও বেক্সিমকো ফার্মা। এর মধ্যে ২৯ শতাংশ লেনদেনই আবার বেক্সিমকো গ্রুপের দুই কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মার। ওইদিন ডিএসইতে সব মিলিয়ে ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়। আর লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪৯৪ কোটি টাকা বা ৪৬ শতাংশই ছিল ৪ কোম্পানির। বাকি ৫৮ কোটি টাকা বা ৫৪ শতাংশ লেনদেন ছিল ৩৪৭ প্রতিষ্ঠানের। বেশ কিছুদিন ধরেই পুঁজিবাজারে লেনদেনে আধিপত্য চলছে হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানির। এর মধ্যে লেনদেনে টানা আধিপত্য ধরে রেখেছে বেক্সিমকো গ্রুপের দুই কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মা। বিষয়টি স্বাভাবিক বাজারের লক্ষণ নয়। এতে বাজারের প্রকৃতচিত্র আড়াল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে সব ধরনের শেয়ার লেনদেন হলে বাজারে গতির সঞ্চার এবং বাজার প্রাণবন্ত হয়।
কখনোই পুঁজিবাজারে লেনদেন হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানিকেন্দ্রিক হয়ে যাওয়াটা সামগ্রিকভাবে বাজারের জন্য খুব বেশি মঙ্গলজনক নয়। সুনির্দিষ্ট কারণে কিছু কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু দিনের পর দিন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া লেনদেন কিছুসংখ্যক কোম্পানিকেন্দ্রিক হয়ে গেলে তা দীর্ঘমেয়াদে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ যখন ওই সব শেয়ারের দাম কমতে থাকবে, তখন বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ সেখানে আটকে যাবে। এতে পুঁজিবাজারে ফের লেনদেন খরা সৃষ্টি হতে পারে।
পুঁজিবাজারে শুধু সূচক আর লেনদেন বাড়লেই বাজার স্থিতিশীল হবে এমন নয়, বাজারের আরো নানাদিক রয়েছে সেগুলোতেও মনোযোগ বাড়াতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি)।
Posted ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
bankbimaarthonity.com | Sajeed