নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৫ মে ২০২০ | প্রিন্ট | 363 বার পঠিত
মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা তৈরি, গবেষণা ও বণ্টন এবং চিকিৎসার জন্য ৮৩০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। তবে এই দলে নেই যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (০৪ মে) বিশ্ব নেতা ও মানবহিতৈষীদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল কনফারেন্স আয়োজন করা হয়। সম্মেলন শুরুর আগে এক যৌথ চিঠিতে এই পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানান ইউরোপীয়ান নেতারা। এতে একশ’ কোটি ডলার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন ও নরওয়ে। ফ্রান্স, সৌদি আরব ও জার্মানি ৫০ কোটি ডলার করে দিতে চেয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া এই উদ্যোগে শামিল হয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার ব্রাসেলসে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন ইইউ প্রধান উরসুলা ফন দেয়ার লায়েন।
তহবিল গঠনের উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ব্রিটেন, নরওয়ে ও সৌদি আরব। এ নিয়ে গতকাল একটি অনলাইন সম্মেলনও ডাকা হয়। জাপান, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশ কিছু দেশের নেতারা তাতে অংশ নেন। চীনের পক্ষ থেকে অংশ নেন ইইউয়ে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত।
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অর্থ সংগ্রহের এ প্রচেষ্টায় খোলা চিঠি দিয়ে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতারা। আগামী কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে এ তহবিল সংগ্রহ করা হবে। বিশ্ব ব্যাংক, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ও ধনী ব্যক্তিরা এই প্রচেষ্টায় যুক্ত হবেন।
ওই কনফারেন্সের সূচনা বক্তব্যে উরসুলা ফন দেয়ার লায়েন বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ৪ মে একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠবে বলে আমি বিশ্বাস করি, কেননা আজ সারা বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সহযোগী অনেক, লক্ষ্য একটাই: ভাইরাস পরাজিত করা।
ওই ভার্চুয়াল কনফারেন্সের সহ আয়োজক ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, আমরা যত ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিশেষজ্ঞ জ্ঞান ভাগাভাগি করতে পারবো তত দ্রুত আমাদের বিজ্ঞানীরা টিকা উদ্ভাবনে সফল হতে পারবেন। করোনার টিকা উদ্ভাবনের গবেষণায় যুক্তরাজ্য ৩৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
জাতিসংঘ সমর্থিত গ্লোবাল প্রিপেয়ার্ডনেস মনিটরিং বোর্ড সম্প্রতি একটি হিসাব কষে জানিয়েছিল, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাথমিকভাবে ৮০০ কোটি ডলারের তহবিলের প্রয়োজন হতে পারে। তার মধ্যে ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে গবেষণা, উৎপাদন ও সরবরাহের জন্য।
২০০ কোটি ডলার প্রয়োজন হবে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা খরচে। ৭৫ কোটি ডলার দরকার হবে ভাইরাস পরীক্ষার কিটের জন্য। আরও ৭৫ কোটি ডলার দরকার স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা উপকরণের জন্য। আর ১২৫ কোটি ডলার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হাতে থাকা উচিত, যাতে দরিদ্র দেশগুলোকে সেই তহবিল থেকে সহায়তা করা যায়।
Posted ২:৩০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ মে ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan