আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 631 বার পঠিত
মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর তারাবির নামাজ ১০ রাকাত পড়া হবে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে। সোমবার (২০ এপ্রিল) বাদ এশা হারামাইন প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস সাংবাদিক সম্মেলনে আসন্ন রমজানে তারাবি ও অন্যান্য বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্টরা নিজেদের বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
এর আগে পবিত্র এ দুই মসজিদে সংক্ষিপ্ত পরিসরে তারাবি নামাজ আদায়ের অনুমতি দেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০ রাকাত তারাবি আদায় করা হবে। তবে মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। সেক্ষেত্রে ইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ মসজিদে কর্মরতদের নিয়ে তারাবির জামাত করা হবে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া।
দুই পবিত্র মসজিদে ইতিফাকও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে মুসল্লিদের তারাবি, ইফতার ও ঈদের নামাজও ঘরে আদায়ের পরামর্শ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সৌদি আরবের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ আল-শেখ জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অব্যাহত থাকলে আসন্ন রমজানে মসজিদে তারাবি নামাজের জামাত হবে না।
তারাবি ও ঈদের নামাজ বাড়িতে পড়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কারও মৃত্যু হলে জানাজার নামাজেও বেশি মানুষের সমাগম না করার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী আব্দুল লতিফ আল-শেখ বলেছেন, জামাত নিষিদ্ধের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সে কারণে জানাজা নামাজ কবরস্থানের পাশে অনুষ্ঠিত হবে। মৃতের পরিবারের ছয় জনের বেশি এতে অংশ নিতে পারবেন না।
এদিকে, হারামাইন প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ সুদাইস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্তমান বিশ্ব করোনার অদৃশ্য থাবায় আক্রান্ত। তাই সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে হারামাইন প্রেসিডেন্সির পক্ষ থেকে রমজান সংশ্লিষ্ট কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত শুধু মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীর জন্য। দেশের অন্য মসজিদের ক্ষেত্রে সরকারের দেওয়া পুরনো সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। সিদ্ধান্তগুলো হলো-
এক. সীমিত সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে রমজানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, তারাবি ও শেষ দশ দিন তাহাজ্জুদের (কিয়ামুল লাইল) জামাত চলবে।
দুই. ইমাম-মুয়াজ্জিন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষেধ।
তিন. যাবতীয় ইফতার আয়োজন ও পরিবেশনা স্থগিত। এর পরিবর্তে মক্কা-মদিনাজুড়ে প্যাকেটজাত ইফতার বিতরণ করা হবে।
চার. ইতেকাফের কোনো ব্যবস্থাপনা এবার থাকছে না।
পাঁচ. বিশ রাকাতের স্থলে তারাবি হবে পাঁচ সালামে মোট দশ রাকাত।
ছয়. প্রতিদিন দুজন ইমামের একজন তারাবির প্রথম ছয় রাকাত এবং অপরজন বেতরসহ অবশিষ্ট চার রাকাত নামাজ পড়াবেন।
সাত. প্রত্যেহ তারাবিতে কোরআনে কারিমের শুরু হতে সুনির্দিষ্ট একটি অংশ তেলাওয়াত করা হবে।
আট. শেষ দশ দিনের তাহাজ্জুদে তারাবিতে পঠিত তেলাওয়াতের ধারাবাহিকতা বহাল থাকবে এবং ২৯ রোজায় কোরআন খতম করা হবে।
নয়. বিতরের নামাজে কুনুতের দোয়া সংক্ষেপে। তবে অর্থবহ করে উপস্থাপন করা হবে।
দশ. ওমরাহর স্থগিতাদেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
Posted ১২:৫০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan