নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৭ মে ২০২০ | প্রিন্ট | 829 বার পঠিত
দেশে করোনা মহামারি শুরু হলে সাধারণ ছুটিতেও বাজেট কার্যক্রমের জোর প্রস্তুতি চলছে। আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের আকার আহামরি বাড়ানো হয়নি। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। আগামী বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্য ও কৃষি খাত
২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্য ও কৃষি খাত। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যা চেয়েছিল, আসন্ন অর্থবছরে তার থেকেও বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে তারা। করোনা ভাইরাস মোকাবিলাকে প্রধান্য দিয়ে আগামী অর্থবছরে ১২ হাজার ৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল স্বাস্থ্যখাত। কিন্তু তাদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ১৩ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় নতুন অর্থবছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নানা ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এ জন্যই এ খাতে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হলো বলে সূত্র জানায়।
একইভাবে আগামীতে দেশে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে কৃষিখাত। দেশের মানুষ ও কৃষকরা যেন কোনো ধরনের সংকটে না পড়েন সে জন্যই এ খাতকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নতুন অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের চাহিদা ছিল ২ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। কিন্তু নতুন এডিপিতে তারা বরাদ্দ পাচ্ছে ৮ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, অনেক মন্ত্রণালয়েই চাহিদা অনুসারে অনেকের বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার অনেককে চাহিদার বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ খাতের চাহিদা ছিল ২৭ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা, সব মিলিয়ে পরিবহন খাতের চাহিদা ছিল ২৮ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা, শিক্ষায় চাওয়া ছিল ১৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। কিন্তু চাহিদা অনুসারে এদের বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে মূল এডিপির আকার ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। সেই তুলনায় আগামী অর্থবছরে মূল এডিপির আকার মাত্র ১.২ শতাংশ বাড়ছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এডিপি বৃদ্ধির হার কম।
সূত্র আরও জানায়, নতুন এডিপি চূড়ান্ত করার জন্য দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদা জানতে চিঠি দিয়েছিল পরিকল্পনা কমিশন। সবার চাহিদার ওপর নির্ভর করে একটি খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এনইসি সভায় এ খসড়া এডিপি চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে একটি প্রাক-মিটিং হবে।
আগামী মঙ্গলবার (১২ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এডিপি চূড়ান্তকরণে লকডাউনের মধ্যেও কাজ করছে পরিকল্পনা কমিশন।
নতুন এডিপি প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) খলিলুর রহমান খান বলেন, নতুন এডিপির খসড়া চূড়ান্ত। এর আকার ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। তবে এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তার আগে আমরা একটা সভা করবো। করোনা মোকাবিলায় এবারে কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা যা চেয়েছে তার থেকেও বেশি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। করোনা সংকট মোকাবিলায় নতুন অর্থবছরে এ দুই খাতে নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে, তাই সার্বিক বিবেচনায় এডিপিতে এ দুটি খাত অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে।
Posted ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ মে ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan