নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২২ জুন ২০২০ | প্রিন্ট | 481 বার পঠিত
আমরা কমিশনে দায়িত্ব নেওয়ার পরে এমএমইদের জন্য ঊভয় স্টক এক্সচেঞ্জে পৃথক বোর্ড করে দিয়েছি। যারা ছোট ছোট আইডিয়া নিয়ে মার্কেট থেকে টাকা তুলতে চায়, তারা এসএমইতে আবেদন করতে পারে। আশা করি ডিএসই আগামি ২-৩ মাসের মধ্যে সম্পূর্নভাবে এসএমই বোর্ডকে চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকবে। সেখানে ছোট ছোট উদ্যোক্তারা আসতে পারবে বলে জানান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
গতকাল রবিবার ‘জিডিপিতে স্টার্টআপের অবদান বিষয়ক বাজেট আলোচনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। এটি ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) এর সাথে যৌথভাবে আয়োজন করে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব)। এতে সভাপতিত্ব ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভিসিপিয়াব চেয়ারম্যান শামীম আহসান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের যেহেতু এসএমই বোর্ড হচ্ছে, সেহেতু ভেঞ্চার ক্যাপিটালগুলোর যদি অর্থায়নের দরকার পড়ে, তা আমাদেরকে বলতে পারেন। আমাদের সহযোগিতা করার সুযোগ থাকলে করব।
‘এছাড়া ভেঞ্চার অব ক্যাপিটাল নিয়ে আজকের আলোচনায় কেউ একজন বলেছেন আইনে কনফ্লিক্ট আছে। এ বিষয়ে আইনে কি সমস্যা আছে, তা জানালে আমরা দ্রুততার সঙ্গে সেই সমস্যা দূর করে দেব। আমাদেরকে শুধু জানান কোথায় সমস্যা। এটা মেইলেও জানাতে পারেন।’
তিনি বলেন, ফারইস্টের ফান্ড বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে, আর মিডলইস্টের ফান্ড বিশেষ করে ইসলামি বন্ডে (সুকুক) বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। আমি পড়শু দিন আড়াইশ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড নিশ্চিত করেছি। যা বাংলাদেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচারের প্রজেক্টে আসবে। আমি দেখেছি, ওখানে বিলিয়নস অব ডলার আছে। তারা আসতে চায়, কারন আমরা যদি সুকুকে ৭-৮ শতাংশ সুদ দেই, তাতে তারা খুবই খুশি। তারা ফান্ডের নিশ্চয়তা চায়। সাধারন বীমা এ কাজটা করবে। এই কাজের কিছু অংশ ভেঞ্চার ক্যাপিটালও শেয়ার করতে পারে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল যাতে টাকার জন্য কোন সমস্যায় না পড়ে, সেটা আমাদের দেখার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, আলোচনায় ইন্স্যুরেন্স ফান্ড, ব্যাংকের ফান্ড বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফান্ড নিয়ে যে সমস্যাগুলোর কথা বলা হয়েছে, তা হয় মূলত বোর্ডে যারা থাকে তাদের জন্য। তারা ফাইন্যান্সিয়াল বিভিন্ন ইস্যু বা নতুন নতুন এরিয়া, নতুন নতুন ধারনা সর্ম্পক্যে বুঝতে পারে না। আমাকে ভেঞ্চার ক্যাপিটালে বিনিয়োগ করাতে সাধারন বীমা পর্ষদকে বোঝানোর ক্ষেত্রে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আমরা মসলিন ক্যাপিটালে সম্ভবত ৩-৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম।
চেয়ারম্যান বলেন, এখন ই-কমার্সের যুগ। ভেঞ্চার ক্যাপিটালে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে হবে। না হলে দেশের উন্নতি পিছিয়ে পড়ব। সুতরাং এখানে আমাদেরকে অর্থায়ন করতে হবে।
ভার্চুয়াল বৈঠকটিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, স্টার্টআপ বাংলাদেশের বিনিয়োগ উপদেষ্ঠা টিনা জাবিন, এফএনএস মিডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফেরদৌস আহমেদ, বিডিওএসএন এর সাধারন সম্পাদক মুনীর হাসান, ভিসিপিয়াবের ভাইস চেয়ারম্যান জিয়া ইউ আহমেদ, বিল্ড বাংলাদেশের উপদেষ্টা আরস্ত খান, সিএমজেএফ’র সভাপতি ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের আউটপুট এডিটর হাসান ইমাম রুবেল এবং সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, দৈনিক প্রথম আলোর বিজনেস এডিটর ও সিএমজেএফ’র নির্বাহী সদস্য সুজয় মহাজন, ইনফ্লেকশন ভেঞ্চারস লিমিটেডের অংশীদার তানভীর আলী, পাঠাও এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুসেইন এম ইলিয়াস, স্টার্টআপ ঢাকার সহ-প্রতিষ্ঠাতা সামাদ মিরালি, বাংলাদেশ এঞ্জেলসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মিনহাজ আনোয়ার, দ্য বিজনেস স্টান্ডার্ড এর নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার খান, দ্য ডেইলি স্টারের বিপণন প্রধান তাজদিন হাসান প্রমুখ।
Posted ৬:৪৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২২ জুন ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan