নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০ | প্রিন্ট | 321 বার পঠিত
করোনার মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ মাস জুনের প্রথম ২৩ দিনে প্রবাসীরা ১৪১ কোটি ৪০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। গত বছরের পুরো জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী সাইদুর রহমান বলেন, করোনা মহামারির মাঝেও প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হয়েছে। গত অর্থবছর প্রবাসীরা ১৬ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এই অর্থবছরের এখনও সাত দিন বাকি থাকতেই তারা ১৭ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের সাত দিন বাকি থাকতেই (গত অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে এই বছরের ২৩ জুন পর্যন্ত) অর্থাৎ বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরের ২৩ জুন পর্যন্ত এক হাজার ৭৭৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার (১৭.৭৭ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পুরো সময়ের (জুলাই-জুন) চেয়েও ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার (১৬.৪১ বিলিয়ন)। আর এই রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে। বুধবার দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে এত বেশি রিজার্ভ আর কখনও ছিল না।
প্রবাসী আয় বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা-বিআইডিএসের গবেষক ড. জায়েদ বখত বলেন, পৃথিবীর সবদেশের অবস্থাই খারাপ। বাংলাদেশের মানুষের হাতের টাকা ফুরিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসীরা তাদের জমানো সব টাকা এখন বাড়িতে পাঠাচ্ছেন। এ কারণে প্রবাসী আয় বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এই করোনার সময়ে প্রবাসীরা যত রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, এর আগে কখনোই কোনও অর্থবছরের পুরো সময়েও এই পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। গত মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ (১.৫) বিলিয়ন ডলার। তাতে ১১ মাসেই রেমিট্যান্সের পরিমাণ গত পুরো অর্থবছরের প্রায় সমান হয়ে গিয়েছিল। এখন তা গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে গেলো।
অবশ্য গত মার্চে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। পরের মাস এপ্রিলে রেমিট্যান্স আরও কমে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে নেমে আসে, যা গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ কম।
কিন্তু মে মাসে চিত্র পাল্টাতে থাকে। মে মাসের প্রথম ১১ দিনে ৫১ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, ৩১ মে মাস শেষে সেই রেমিট্যান্স গিয়ে দাঁড়ায় ১৫০ কোটি ৪০ লাখ ডলারে। আর জুনের প্রথম ১৮ দিনেই ১২০ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। বুধবার (২৪ জুন) দিন শেষে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ১৪১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন ২০২০-২১ অর্থবছরের যে নতুন বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতেও প্রবাসীদের জন্য ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
Posted ৬:০৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan