বিবিএনিউজ.নেট | মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট | 688 বার পঠিত
২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে যমুনা ব্যাংক লিমিটেড ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা সাত পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৯ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৬ জুন সকাল ১০টায় রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডে অবস্থিত পুলিশ কনভেনশন হলে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ মে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর এক দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৮ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১৮ টাকা ১০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির আট লাখ ৭৩ হাজার ২৪৪টি শেয়ার মোট ২২০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৫৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। ওইদিন দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৭ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৮ টাকা ১০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ২১ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আর তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে ২০ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল তিন টাকা ৩৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ১২ পয়সা। ওই সময় করপরবর্তী মুনাফা করে ২০৭ কোটি ৬৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল দুই টাকা ৯২ পয়সা এবং এনএভি হয়েছিল ২৫ টাকা ৭০ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা করে ১৭৯ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৪৯ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭৯৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৭৪ কোটি ৯২ লাখ ২৫ হাজার ৬৫০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫০ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক তিন দশমিক ৯৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা দুই পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৬ জুন সকাল ১০টায় রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে (হাউজ-১৯, রোড-৭, গুলশান-১) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ১১ শতাংশ বা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৯ টাকা ৫০ পয়সা। ওইদিন পাঁচ লাখ ৯৯ হাজার ৬০১টি শেয়ার মোট ৪২১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ১৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৩২ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস ছিল এক টাকা ৬৪ পয়সা এবং এনএভি ছিল ১৭ টাকা পাঁচ পয়সা। বিমা খাতের এ কোম্পানিটি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণও ৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির চার কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫০ দশমিক ৫২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ছয় দশমিক ৭০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪২ দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ার।
Posted ১২:৩৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed