ব্যাংক বীমা অর্থনীতি ডেস্ক | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ | ২:৪৫ অপরাহ্ণ
বিগত সরকারগুলোয় প্রতিবারই সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করলেও এবার শুধু নিজের দল আওয়ামী লীগের নেতাদের সরকার পরিচালনায় রাখছেন শেখ হাসিনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় নিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা হচ্ছেন চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রথম সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। সে সময় জাতীয় পার্টির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও জাসদের আ স ম আবদুর রবকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে সরকার গঠন করে তাকে ‘জাতীয় ঐকমত্যের’ সরকার বলেন শেখ হাসিনা। খবর বিডিনিউজের।
এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে এ পর্বে শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের মন্ত্রিসভায়ও জিএম কাদেরসহ জাতীয় পার্টির নেতাদের পাশাপাশি সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়–য়াকে মন্ত্রী করা হয়েছিল। ওই সরকারের শেষদিকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনার টানা দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারে ইনুর সঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে মন্ত্রিসভায় রাখা হয়েছিল, পাশাপাশি মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির নেতারাও মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
এই প্রথম জোট শরিক দলগুলোর নেতাদের বাইরে রেখে কেবল আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে সরকার গঠন করতে চলেছেন শেখ হাসিনা।
আজ নতুন মন্ত্রীদের শপথ সামনে রেখে রোববার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ২৫ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেন।
২৫ মন্ত্রণালয়ের ১৮টিতেই পরিবর্তন এসেছে। তাতে দেখা গেছে, বিদায়ি সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রী জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। বিদায়ি সরকারে জাতীয় পার্টি থেকেও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, স্থানীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুও বাদ পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ গ্রহণের পরদিনই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ বলেছিলেন, তাদের দলের কোনো সদস্য এবার আর মন্ত্রিসভায় থাকছেন না। সংসদে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকবে জাতীয় পার্টি। সে কারণে নতুন মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির নেতাদের বাদ পড়াটা অনেকটা অনুমিতই ছিল। তবে ইনু, মেনন ও মঞ্জুর মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়াটা চমক হিসেবেই এসেছে, যেমনটি ঘটেছে মন্ত্রিসভায় পুরানোদের অধিকাংশের বদলে নতুন মুখ আসায়।
নতুন সরকারে তথ্যমন্ত্রী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ। চট্টগ্রামের এই এমপি বিগত মন্ত্রিসভায় না থাকলেও ২০০৯ সালের মন্ত্রিসভায় ছিলেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হিসেবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা নুরুজ্জামান আহমেদ, যিনি ২০১৬ সাল থেকে এ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজারের এ আওয়ামী লীগ নেতা এবারই প্রথম মন্ত্রিসভায় এলেন। এখানে উপমন্ত্রী করা হয়েছে খুলনার মেয়র তালুকদার খালেকের স্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারকে।
বাংলাদেশ সময়: ২:৪৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed