মঙ্গলবার ১৩ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Ad
x

পোশাক খাতের মজুরি বাড়েনি, বাস্তবে ২৬ শতাংশ কমেছে : টিআইবি

বিবিএনিউজ.নেট   |   মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   596 বার পঠিত

পোশাক খাতের মজুরি বাড়েনি, বাস্তবে ২৬ শতাংশ কমেছে : টিআইবি

তৈরি পোশাক খাতের মজুরি নিয়ে মালিক পক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়েছে। নতুন কাঠামোতে মজুরি বাড়েনি, উল্টো ২৬ শতাংশ কমেছে বলে দাবি করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

মঙ্গলবার রাজধানীতে টিআইবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন : অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনের টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইন অনুযায়ী প্রতিবছর পাঁচ শতাংশ হরে মজুরি বাড়ানোর নিয়ম রয়েছে। এ হিসেবে মজুরি বাড়েনি, বাস্তবিক অর্থে সার্বিকভাবে ২৬ শতাংশ কমানো হয়েছে।

এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে টিআইবি জানায়, ২০১৩ সালের ঘোষিত মজুরি অনুযায়ী প্রথম গ্রেডে ছিল ৮ হাজার ৫০০ টাকা। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ঘোষিত প্রথম গ্রেডে নতুন মজুরি করা হয়েছে ১০ হাজার ৯৩৮ টাকা। কিন্তু ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টসহ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে মজুরি হওয়ার কথা ছিল ১৩ হাজার ৩৪৩ টাকা। সেই হিসেবে মজুরি ২ হাজার ৪০৫ টাকা বা ২৮ শতাংশ কমেছে। এভাবে নতুন কাঠামোতে মজুরি সার্বিকভাবে ২৬ শতাংশ কমেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সংস্থার সহকারী প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজমুল হুদা মিনা ও মো. মোস্তফা কামাল।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পোশাক খাতে অনেক অগ্রগতি হলেও প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঘাটতি রয়ে গেছে। শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি পর্যাপ্ত দৃষ্টি পাচ্ছে না। নূন্যতম মজুরি বৃদ্ধির মধ্যে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়ে গেছে। বাস্তবে মজুরি কমে গেছে বলে ধারণা করা হতো। আমাদের প্রতিবেদনেও তা ওঠে এসেছে। আগের তুলনায় ২৬ শতাংশ মজুরি কমে গেছে। সেটি তো বাড়েইনি বরং যারা আন্দোলন করেছে তাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

ট্রেড ইউনিয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে আইনি ও প্রায়োগিক দুর্বলতা রয়েছে। মাত্র ৩ শতাংশ কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠিত হয়েছে। যার অধিকাংশই মালিকদের দ্বারা প্রভাবিত।

টিআইবি জানায়, পোশাক খাতে অধিকাংশ সাব কন্ট্রাক্টর নির্ভর কারখানায় নূন্যতম মজুরি দেয়া হয় না। এছাড়া নতুন মজুরি কাঠামোতে মালিকপক্ষের মূল মজুরির বৃদ্ধি ২৩ শতাংশ দাবি করা হলেও প্রকৃত হিসাবে ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে তা প্রায় ২৬ শতাংশ কম। মজুরি বৈষম্য নিয়ে আন্দোলন করায় ৫ হাজার শ্রমিককে আসামি করে ৩৫টি মামলা করা হয়েছে। ১৬৮টি কারখনায় ১০ হাজার শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

Facebook Comments Box

Posted ২:৩০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11671 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।