
| মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট | 883 বার পঠিত
নিজেদের করপোরেট হেড অফিসের জন্য রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত অ্যাডভান্স নূরানী টাওয়ারে ১৭ হাজার ৮৭ বর্গফুটের একটি স্পেস কিনবে বিবিএস কেবলস লিমিটেড। ১৫টি গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানসহ পুরো ফ্লোর স্পেসের আনুমানিক মূল্য ২৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা যায়, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের অর্থে বাস্তবায়িত আইপিও প্রকল্পে সম্প্রতি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করছে কোম্পানিটি। বর্ধিত প্রকল্প কোম্পানিটির বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৩৭ শতাংশ বাড়িয়ে ২২ হাজার ৭০০ টনে উন্নীত করেছে, যা তাদের বিক্রি ১ হাজার ২০০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে সক্ষম।
২০১৭ সালে আইপিওতে আসে বিবিএস কেবলস। অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে দুই কোটি শেয়ার ইস্যু করে কোম্পানিটি বাজার থেকে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এ অর্থের বড় অংশ নতুন মেশিনারিজ কেনা ও ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যয় করার ঘোষণা দেয় কোম্পানি।
বিবিএস কেবলস মূলত রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বৈদ্যুতিক তার সরবরাহ করছে।
এদিকে গতকাল স্টক এক্সচেঞ্জ মারফত শেয়ারহোল্ডারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কোম্পানিটি জানিয়েছে, ২০ জানুয়ারি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) লিমিটেডের কাছ থেকে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩২ হাজার ৮৭০ টাকার পণ্য সরবরাহের একটি নোটিফিকেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে তারা। ২৮ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি সই হওয়ার পর তা কার্যকর হবে।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। সমাপ্ত হিসাব বছরে এর শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৮ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ২৪ টাকা ৩১ পয়সা।
চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) এ কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৬ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৫৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৩৭ পয়সা।
২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় বিবিএস কেবলস। সে এক বছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৪ টাকা ১২ পয়সা। ৩০ জুন ২০১৭ কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৯ টাকা ১৭ পয়সায়।
ডিএসইতে গতকাল বিবিএস কেবলস শেয়ারের সর্বশেষ দর ১ দশমিক ১৩ শতাংশ বা ১ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ১০৭ টাকায়। দিনভর দর ১০৬ টাকা থেকে ১০৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল ১০৭ টাকা ১০ পয়সা, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ১০৫ টাকা ৮০ পয়সা। এদিন ২ হাজার ৭৮৪ বারে কোম্পানিটির মোট ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮৪টি শেয়ার লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল ৭০ টাকা ১০ পয়সা ও সর্বোচ্চ দর ১৩৯ টাকা ২০ পয়সা।
বর্তমানে এ কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১৫৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। রিজার্ভে আছে ১৭৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। মোট শেয়ারসংখ্যা ১৫ কোটি ৮৭ লাখ; বর্তমানে যার ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকের হাতে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১২ দশমিক শূন্য ৩, বিদেশী ১ দশমিক শূন্য ২ ও বাকি ৫৩ দশমিক ৬২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
সর্বশেষ এজিএমে অনুমোদিত নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ১৫ দশমিক ২৬, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৮ দশমিক ৭৫।
Posted ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed