মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক সপ্তাহে ৯ নিত্যপণ্যের দাম কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০   |   প্রিন্ট   |   361 বার পঠিত

এক সপ্তাহে ৯ নিত্যপণ্যের দাম কমেছে

গত এক সপ্তাহে দাম কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় নয়টি পণ্যের। এগুলো হলো- চাল, ডাল, তেল, রসুন, জিরা, ছোলা, পেঁয়াজ ও আমদানি করা আদা। বিপরীতে গত এক সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি, শুকনা মরিচ ও দেশি আদার দাম বেড়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার, বাদামতলী, সূত্রাপুর, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত, মৌলভীবাজার, মহাখালী, উত্তরা আজমপুর, রহমতগঞ্জ, রামপুরা ও মিরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিসিবি।

গত এক সপ্তাহে দাম কমা প্রতিটি পণ্যের দাম করোনার প্রকোপ ও রোজার শুরুতে অস্বাভাবিক বাড়ে। করোনার প্রকোপে অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া আমদানি করা আদার দাম গত এক সপ্তাহে সব থেকে বেশি কমেছে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহে আমদানি করা আদার দাম কমেছে ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। বর্তমানে এই আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৬০ টাকা। অথচ করোনার প্রকোপ শুরু হলে এক পর্যায়ে পণ্যটির দাম ৩৫০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে নাজিরশাইল ও মিনিকেট চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৮ থেকে ৬৮ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে এই দুই ধরনের চালের দাম কমেছে ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

চিকন চালের পাশাপাশি দাম কমেছে মাঝারি ও মোটা চালের। টিসিবির হিসাবে মাঝারি মানের চাল পাইজাম ও লতার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ৫ শতাংশ। বর্তমানে পাইজাম ও লতা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আর মোটা চালের দাম ২ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে ৩৮ থেকে ৪৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

গত এক সপ্তাহে বড়, মাঝারি ও ছোট দানা সব ধরনের মসুর ডালের দাম কমেছে। বড় দানার মসুর ডালের দাম ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি দানার মসুর ডাল ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে ১০০ থেকে ১১০ টাকা হয়েছে। আর ছোট দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, এ পণ্যটির দাম কমেছে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ।

টিসিবির তথ্যে, গত এক সপ্তাহে দেশি রসুনের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এক সপ্তাহ আগে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি রসুনের দাম কমে হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আর আমদানি করা রসুনের দাম ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা হয়েছে।

অস্বাভাবিক বাড়া জিরার দামও খুচরা বাজারে কিছুটা কমেছে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহে জিরার দাম কমেছে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এক লাফে ৬০০ টাকা কেজিতে উঠে যাওয়া জিরার দাম এখন কিছুটা কমে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা হয়েছে।

রোজার অপরিহার্য পণ্য হিসেবে পরিচিত ছোলার দাম ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা হয়েছে। ছোলার পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে দেশি ও আমদানি উভয় ধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজের দাম ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা হয়েছে। আর আমদানি পেঁয়াজের দাম ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হয়েছে।

দাম কমার এ তালিকায় থাকা লুজ সয়াবিন তেলের দাম এক সপ্তাহে ২ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে কেজি ৮৮ থেকে ৯২ টাকা হয়েছে। লুজ পাম ওয়েল ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ কমে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা হয়েছে। আর সুপার পাম ওয়েলের দাম ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ কমে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে গত এক সপ্তাহে সব থেকে বেশি দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। টিসিবির হিসাবে, ব্রয়লার মুরগির দাম ৩৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা হয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা শুকনা মরিচের দাম ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা হয়েছে। এছাড়া দেশি আদার দাম ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৩:১১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11185 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।