রবিবার ৫ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওয়াসার পানি ফুটাতে বছরে ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাস খরচ

বিবিএনিউজ.নেট   |   বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   730 বার পঠিত

ওয়াসার পানি ফুটাতে বছরে ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাস খরচ

টিআইবি’র সংবাদ সম্মেলনওয়াসার পানির মান খারাপ হওয়ায় ৯১ শতাংশ মানুষ তা ফুটিয়ে পান করেন। পানি ফুটিয়ে খাওয়ার উপযোগী করতে বছরে আনুমানিক ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাস খরচ হয়।

বুধবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর ‘ঢাকা ওয়াসা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদন তৈরিতে টিআইবি ওয়াসার ১০টি জোনের ২ হাজার ৭৬৮ জন ওয়াসার সংযোগ গ্রহণকারী থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। সেখানে ২০.৬ শতাংশ গ্রাহক বছরে সবসময় পানি সরবরাহে ঘাটতির কথা বলেছেন।

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এশিয়ার কোনও দেশে পানি ফুটিয়ে পান করা হয় না। ঢাকা ওয়াসাকে এ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা দরকার।’

চাহিদা অনুযায়ী পানি না পাওয়ার হার বস্তি এলাকায় সবচেয়ে বেশি। সেখানে ৭১.৯ শতাংশ চাহিদা অনুযায়ী পানি পান না। এছাড়া আবাসিক এলাকায় ৪৫.৮ শতাংশ, বাণিজ্যিক এলাকায় ৩৪.৯ শতাংশ ও শিল্প এলাকায় ১৯ শতাংশ চাহিদা অনুযায়ী পানি পান না। সার্বিক সেবা গ্রহীতাদের ৪৪.৮ শতাংশ চাহিদা অনুযায়ী পানি পান না বলে টিআইবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ওয়াসার অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, সেবাগ্রহীতাদের ৮৬.২ ভাগ ওয়াসার কর্মচারী এবং ১৫.৮ ভাগ দালালকে ঘুষ দিয়ে থাকেন। এরমধ্যে পানির সংযোগ গ্রহণে ২০০ থেকে ৩০০০০ টাকা, পয়লাইনের প্রতিবন্ধকতা অপসারণে ৩০০ থেকে ৪৫০০ টাকা, গাড়িতে করে জরুরি পানি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে ২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, মিটার ক্রয়/পরিবর্তন করতে ১০০০ থেকে ১৫০০০ টাকা মিটার রিডিং ও বিল সংক্রান্ত বিষয়ে ৫০ থেকে ৩০০০ টাকা এবং গভীর নলকূপ স্থাপনে এক লাখ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াসার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিশেষ ক্ষেত্রে বোর্ডর সিদ্ধান্ত উপেক্ষিত হয়। নিয়ম বহির্ভূতভাবে পদায়ন ও বদলিতে সংস্থাটির অনিয়ম রয়েছে। অনিয়ম রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও। এছাড়া প্রশাসনিক কাজে সিবিএ’র অযাচিত হস্তক্ষেপ রয়েছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে গ্রাহক সেবায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করে টিআইবি জানিয়েছে, সেবা গ্রহীতাদের (জুলাই-২০১৭-জুন ২০১৮ সময়কালে) ২৬.৯ ভাগ পানি ও পয়নিষ্কাশন সেবায় ঢাকায় ওয়াসার সঙ্গে সরাসরি করলেও ৬১.৯ ভাগ অনিয়ম ও দুর্নীতির শিকার বলে জানিয়েছে টিআইবি।

প্রতিবেদনের সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার ভিশন ও মিশন অনুযায়ী, নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পানির চাহিদা পূরণে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পানির উৎদন ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ঢাকা ওয়াসার সক্ষমতা ও উদ্যোগের খাটতি রয়েছে। পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সেবার নিম্নমান এবং সেবা সম্পর্কে প্রায় এক-তৃতীয়াংশের বেশি সেবাগ্রহীতা অসন্তুষ্ট।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৩:৩৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।