বিবিএনিউজ.নেট | সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট | 462 বার পঠিত
ক্ষুদ্রঋণের সুদহার কমানোর নির্দেশনা দিয়েছে এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। এখন থেকে ক্রমহ্রাসমানস্থিতি পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদহার আরোপ করতে পারবে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো। এর আগে সর্বোচ্চ সীমা ছিল ২৭ শতাংশ।
সম্প্রতি এক সার্কুলার জারি করে এমআরএ ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন সুদহার কার্যকরের নির্দেশনা দিয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, ক্ষুদ্রঋণের সর্বোচ্চ সার্ভিস চার্জের হার ক্রমহ্রাসমানস্থিতি পদ্ধতিতে বর্তমান সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ পুনর্নির্ধারণ করা হলো।
২০১০ সালের নভেম্বরে ক্ষুদ্রঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ নির্ধারণ করে এমআরএ। ওই সময় বলা হয়েছিল, প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে সুদহার কমানোর বিষয়ে সচেষ্ট থাকবে। ৯ বছর পরে এসে এমআরএ আগের সুদহারে পরিবর্তন আনল।
এমআরএর এক কর্মকর্তা বলেন, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ও প্রশাসনিক ব্যয় বিশ্নেষণ করে সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো যে অর্থ বিনিয়োগ করছে, তার ৩৫ শতাংশ আসছে নিজস্ব তহবিল থেকে, যার পেছনে কোনো ব্যয় নেই। গ্রাহকদের সঞ্চয় থেকে আসছে আরও ৩৫ শতাংশ, এ ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ কম। এ ছাড়া বাকি ৩০ শতাংশ অর্থ আসছে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পিকেএসএফসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থা ও দাতা তহবিল থেকে। নিজস্ব তহবিল বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের তহবিল ব্যয় কমেছে। এ ছাড়া এমআরএ প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালন দক্ষতাও বেড়েছে, এতে পরিচালন ব্যয় কমেছে। এসব বিবেচনা করে ঋণের সুদহার কমানো হয়েছে। আগামীতে পর্যায়ক্রমে আরও কমানো হবে।
ওই কর্মকর্তা জানান, এই সুদহার কমানোয় দেশের প্রান্তিক দরিদ্রগোষ্ঠী কিছুটা হলেও সুবিধা পাবে। একই পরিমাণ ঋণের জন্য কিস্তির পরিমাণ ছোট হবে। ফলে ক্ষুদ্রঋণের গ্রাহকরা আরও সহজে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন।
সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান বরগুনার সংকল্প ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক মির্জা শহীদুল ইসলাম খালিদ বলেন, এমআরএ যে সুদহার নির্ধারণ করেছে, তা পুরো ক্ষুদ্রঋণ খাতের জন্য। কিন্তু এ খাতে ছোট-বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আবার অঞ্চলভেদে কাজ করার বিষয় রয়েছে। যে কারণে এ সিদ্ধান্তের প্রভাব একেক প্রতিষ্ঠানের জন্য একেক রকম হবে। ছোট প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ব্যয় বেশি।
সুদহার কমে যাওয়ায় বড় প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ছোট প্রতিষ্ঠানে চাপ বাড়বে। এ ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে বছরের বড় একটি সময় ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকে। জেলেরা মাছ ধরতে যেতে পারেন না। চাষিদের ফসলের ক্ষতি হয়। এ জন্য উপকূলীয় এলাকার প্রতিষ্ঠানের এ সিদ্ধান্ত আরও চাপ তৈরি করবে।
Posted ১২:৪১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed