শুক্রবার ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ডলারের দাম ৮৭ টাকা

বিবিএনিউজ.নেট   |   রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   354 বার পঠিত

ডলারের দাম ৮৭ টাকা

বেড়েই চলছে টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম। দেশের ব্যাংকগুলোতে এখন নগদ মার্কিন ডলারের মূল্য ৮৭ টাকা উঠেছে। আমদানি পর্যায়ে ডলারের দর উঠেছে ৮৪ টাকা ৭৫ পয়সা। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ, যারা ভ্রমণ করতে বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের ডলার কিনতে হচ্ছে ৮৭ টাকা দরে।

ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আমদানি-রফতানির ভারসাম্য না থাকা, বিদেশে অর্থ পাচারসহ নানা কারণে ডলারের বাজারে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে রফতানি বাণিজ্য ও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে কিছুটা উৎসাহিত হলেও বেড়ে যাচ্ছে পণ্য আমদানির ব্যয়। কারণ, আমদানির জন্য বেশি মূল্যে ডলার কিনতে হচ্ছে। ফলে খাদ্যশস্য, ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি তেল, শিল্পের কাঁচামালসহ সব আমদানি পণ্যের ব্যয় বাড়ছে। সর্বপরি মূল্যস্ফীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ব্যাংকগুলোর তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২ অক্টোবর আমদানি দায় মেটাতে ব্যবসায়ীদের থেকে দেশি ও বিদেশি খাতের বেশিরভাগ ব্যাংক ৮৪ টাকা ৫০ পয়সা নিয়েছে। তবে সীমান্ত ব্যাংক আমদানি দায় মেটাতে ডলারের মূল্য নিয়েছে ৮৪ টাকা ৭৫ পয়সা।

অন্যদিকে ব্যাংকগুলোর ঘোষিত মুদ্রা বিনিময় হার অনুযায়ী, ২ অক্টোবর রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক নগদ ডলার বিক্রি করেছে ৮৭ টাকা। একইদিন ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা দরে নগদ ডলার বিক্রি করেছে বিদেশি ব্যাংক আল ফালাহ। ৮৬ টাকা ৬০ পয়সা দরে নগদ ডলার বিক্রি করেছে জনতা, বিডিবিএল, অগ্রণী ও এনসিসি ব্যাংক।

ডলারের দাম বাড়ার প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের মূল্য দিয়েছে ৮৪ টাকা ৫০ পয়সা। এখন ব্যাংকগুলো যদি ৮৭ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি করে তাহলে এটা অনেক বেশি। যেসব ব্যাংক ডলারের দাম বেশি নিচ্ছে এটা কেন নিচ্ছে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেখা উচিত। কারণ, এর প্রভাবে যেন ডলারের বাজার অস্থির না হয় এজন্য আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডলারের দাম বাড়লে দ্বিমুখী প্রভাব পড়ে উল্লেখ করে প্রবীণ এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ডলারের দাম বাড়লে রফতানিকারকরা লাভবান হয়। তবে সমস্যায় পড়ে আমদানিকারকরা। কারণ, আমদানি ব্যয় বাড়লে স্থানীয় বাজারের পণ্যের দাম বেড়ে যায়। চাপ পড়ে মূল্যষ্ফীতির উপর। এতে করে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যায়। ফলে সবচেয়ে কষ্ট হয় গরীরের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের করা হালনাগাদ প্রতিবেদনে তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম মাসে ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৩৪২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে ৪৮০ কোটি ৬০ লাখ ডলার। সেই হিসেবে জুলাই শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় ৯৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (বিনিময় হার ৮৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে) দাঁড়ায় প্রায় ৮ হাজার ২৭২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ঘাটতির এ অঙ্ক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময় ছিল ১১৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ে তুলনায় এবার ঘাটতি কিছুটা কমেছে।

Facebook Comments Box
বিষয় :
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:৫৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।