| বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট | 729 বার পঠিত
প্রাথমিক শিক্ষায় অংশগ্রহণে এগিয়ে থাকলেও মানের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় পিছিয়ে বাংলাদেশ। এমনকি কারিগরি শিক্ষার্থীরাও সেভাবে দক্ষ হয়ে বেড়ে উঠছে না। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন চিত্র ফুটে উঠেছে। যেখানে বলা হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গুরুত্ব দিলেও দক্ষভাবে ব্যবহারে বিশ্বের ১৪৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৫। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দাবি, সক্ষমতা অনুযায়ী বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দ কম নয়।
দেশের প্রায় ৯৮ ভাগ শিশুই এখন স্কুলে যায়, মেয়েদের ক্ষেত্রে হারটা আরো বেশি। এমন সাফল্যই সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এগিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশকে। যা নিয়ে বারবারই তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছে সরকার।
তবে এমন অর্জনের পেছনের ছবিটা মোটেও স্বস্তির নয়। বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট আপডেট বলছে, স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও মানের দিক দিয়ে আছে আশংকাজনক অবস্থায়। ফলে শিক্ষার্থীদের ১১ বছরের স্কুল জীবনের মধ্যে নষ্ট হচ্ছে সাড়ে ৪ বছরই। তৃতীয় শ্রেণীর ৩৫ ভাগ শিশু এমনকি বাংলা পড়তেই পারেনা। আর পঞ্চম শ্রেণীর ৭৫ ভাগ শিশুরই নেই সাধারণ যোগ বিয়োগের জ্ঞানও।
বাংলাদেশের মানহীন শিক্ষাব্যবস্থার ফিরিস্তির এখানেই শেষ নয়। বিশ্বব্যাংক বলছে, খোদ কারিগরি পাশ করা শিক্ষার্থীদেরও রয়েছে কারিগরি দক্ষতার অভাব। ফলে পাশ করে তাদের ৩২ ভাগই চাকরি পায়না। কারণ আনুপাতিক হারে বাংলাদেশে শিক্ষায় খরচ হয় কম। তবে এমনসব অভিযোগ মানতে নারাজ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। দাবি করেন, শিক্ষায় বরাদ্দ যথেষ্টই রয়েছে।
ডিজিটাল পথে এগুলেও তথ্যপ্রযুক্তি জানার ক্ষেত্রেও অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ।
Posted ১:৫৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed