বিবিএনিউজ.নেট | মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট | 754 বার পঠিত
প্রকৃতির জন্য পলিথিন একটি বড় ধরনের হুমকি, কারণ তা মাটিতে মেশে না। সেই অপচনশীল পরিত্যক্ত পলিথিনকে পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করার অভূতপূর্ব এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভাঁড়শো ইউনিয়নে হোসেনপুর গ্রামের ইদ্রিস আলী (৫৫)।
ইদ্রিস আলী পেশায় সাইকেল মেকার হলেও এলাকাবাসীর কাছে তিনি বিজ্ঞানী নামে পরিচিত। নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে নোংরা পরিত্যক্ত পলিথিন থেকে তৈরি করছেন জ্বালানি তেল ও গ্যাস। এমন চাঞ্চল্যকর খবরে একনজর দেখার জন্য প্রতিনিয়ত তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক জনতা।
ইদ্রিস আলী বলেন, প্রথমে একটি বড় ড্রামে পলিথিন ঢোকানো হয়। সেই ড্রাম থেকে ১৫ হাত লম্বা একটি স্টিল পাইপ পাশের তিনটি প্লাস্টিকের জারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এরপর পলিথিন ভর্তি ড্রামটির নিচে আগুন দিয়ে গরম করা শুরু করলে সেখান থেকে দুইটি জারের একটিতে তেল ও অন্যটিতে গ্যাস জমা হতে শুরু করে। যেখানে সাড়ে ৭ কেজি পলিথিন থেকে ৫ লিটার পর্যন্ত তেল তৈরি হয়। তেলের পাশাপাশি উৎপাদিত গ্যাস সংগ্রহের কোনো পদ্ধতি না থাকায় তা সরাসরি তেল তৈরির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তেল কিনতে প্রতিদিনই এলাকার মোটরসাইকেল চালকেরা আসেন দূরদূরান্ত থেকে।
তিনি আরও বলেন, আমার ভেতরে তেমন একটা লেখাপড়া না থাকলেও আমার ভেতর রয়েছে কিছু একটা করার ইচ্ছে শক্তি। তবে আমি অর্থনৈতিক দৈন্যতার মধ্যে থাকায় কোনো কাজে সফলতা লাভ করতে পারি না। তবে সরকারিভাবে যদি আমাকে সহযোগিতা করা হয় তবে আমি আমার এই উদ্ভাবনটির প্রসার ঘটিয়ে এর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতে পারব এবং দেশের জন্য কিছু করতে পারব। আমি যদি এ উপায়ে তেল, গ্যাস তৈরি করতে পারি তাহলে তেল এবং গ্যাসের দাম অনেক কমে পাওয়া যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ধারণা ছিল না ইদ্রিস আলী এ রকম উপায়ে তেল তৈরি করতে পারবে। নোংরা পলিথিন থেকে তেল তৈরি করা পদ্ধতি আমাদের ভালো লাগছে। এ উপায়ে প্রথম আমরা তেল তৈরি দেখছি। তেল তৈরির পাশপাশি এখান থেকে গ্যাসও তৈরি হচ্ছে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, ইদ্রিস আলীর এমন উদ্ভাবনীর কথা আমরা আমাদের উপরের কৃর্তপক্ষকে জানাবো। এই উদ্ভাবনী সরকারি প্রকল্পের আওতায় এনে প্রযুক্তিটি কাজে লাগানো যায় কি না সে বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।
Posted ২:৩৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed