শুক্রবার ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ব্যাংকের পারপিচুয়াল বন্ড

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও লেনদেনযোগ্য করার সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ০৬ জুলাই ২০২০   |   প্রিন্ট   |   477 বার পঠিত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও লেনদেনযোগ্য করার সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে বাজারে বন্ড ইস্যু করে মূলধন সংগ্রহ করছে দেশের বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকগুলো। সাম্প্রতিক সময়ে বে-মেয়াদী বন্ড (চবৎঢ়বঃঁধষ ইড়হফ) ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের প্রবণতা বেড়েছে। গত এক মাসে চারটি ব্যাংকের এক হাজার ছয়শ কোটি টাকা পারপেচুয়াল বন্ড অনুমোদন করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পারপিচুয়াল বন্ডগুলো এতদিন স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনযোগ্য ছিল না। প্রাইভেট প্লেসমেন্টেরমাধ্যমে এগুলো মূলত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নামে বরাদ্দ করা হতো। স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হতো না বলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা চাইলেও বিনিয়োগ করতে পারত না। এমতাবস্থায় ব্যাংকের পারপিচুয়াল বন্ডগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও লেনদেনযোগ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।  রোববার (৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৭৩০তম কমিশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, এসব বন্ড স্টক এক্সচেঞ্জের মূল প্ল্যাটফরমে (বর্তমানে যে প্ল্যাটফরমে শেয়ার কেনাবেচা হয়) কেনাবেচা হবে। বিএসইসি এর জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করবে।

উল্লেখ, বর্তমানে পুঁজিবাজারে দুটি বন্ড (দুটিই পারপেচুয়াল) তালিকাভুক্ত আছে। এর একটি হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের, অপরটি আশুগঞ্জ পাওয়ার কোম্পানির।

পুঁজিবাজারে পণ্য বৈচিত্র বাড়ানো এবং বিনিয়োগের বিকল্প সুযোগ তৈরি করতে অনেক দিন ধরে একটি কার্যকর বন্ড মার্কেটের তাগিদ দিয়ে আসছেন অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বব্যাংক এবং এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকেরও (এডিবি) এমন চাওয়া রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি হচ্ছে খুবই ধীর গতিতে।

বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই কার্যকর বন্ড মার্কেট গড়ে তোলার বিষয়টি তার অগ্রাধিকারের তালিকায় আছে বলে জানান। আজকের সিদ্ধান্তে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।

তবে ব্যাংকের পারপিচুয়াল বন্ডগুলোকে পুঁজিবাজারে সত্যিকার অর্থে লেনদেনযোগ্য করতে হলে আরও কিছুকাজ করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম বন্ডগুলোর ইউনিটকে ভেঙ্গে ছোট করা। ব্যাংকগুলোর বন্ডের ইউনিটের আকার এক লাখ টাকা থেকে দশ লাখ টাকা। এতবড় ইউনিট থাকলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তাতে অংশ নিতে পারবে না। এগুলোকে ১০০ বা ১০০০ টাকায় নামিয়ে আনলে বাজারে বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ ও লেনদেন বাড়বে।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৬ জুলাই ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।