বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী

ফণীর ছোবলে ফসলের ক্ষতি সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা

বিবিএনিউজ.নেট   |   বুধবার, ০৮ মে ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   629 বার পঠিত

ফণীর ছোবলে ফসলের ক্ষতি সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা

ঘূর্ণিঝড় ফণীর ছোবলে ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশের ৩৫ জেলার ২০৯টি উপজেলার ৬৩ হাজার হেক্টর জমির বোরো, সবজি, ভুট্টা, পাট ও পান ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

এর মধ্যে ৫৫ হাজার ৬০৯ হেক্টর জমির বোরো ধান, তিন হাজার ৬৬০ হেক্টরের সবজি, ৬৭৭ হেক্টর জমির ভুট্টা, ২ হাজার ৩৮২ হেক্টর জমির পাট এবং ৭৩৫ হেক্টর জমির পানের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১৩ হাজার ৬৩১ জন কৃষকের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য সরকারের হাতে এসেছে। কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রণোদনামূলক কর্মসূচি হাতে নেয়া হবে।

বোরো মৌসুমে ফসল কাটার সময় গত শনিবার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে ঢুকে মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় ফণী। এসব এলাকায় অনেক ক্ষেতের পাকা ধান ঝড়ের বাতাসে শুয়ে পড়ে।

ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার ঝোড়ো বাতাস নিয়ে আঘাত হানলেও বাংলাদেশে ঢোকার সময় এর গতি ৮০ কিলোমিটারে নেমে এসেছিল। ফলে দেশে ফসলের ক্ষতি ‘ততটা হয়নি’ বলে দুদিন আগে জানিয়েছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলম।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১ কোটি ১০ লাখ একর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়, এ থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টন ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ৬০৯ হেক্টর জমির বোরো ধান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফণীর কারণে নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, লক্ষ্ণীপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, গাইবান্ধা, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলায় ফণীর কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় বীজ, সার ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান রাজ্জাক।

তিনি বলেন, ২০১৯-১০ খরিপ মৌসুমে (এপ্রিল থেকে নভেম্বর) রোপা আমন ধানের বীজ ও চারা চারা উৎপাদন ও বিতরণ এবং মাসকালাই বীজ বিতরণ করা হবে কৃষকদের মধ্যে।

পাশাপাশি ২০১৯-২০ রবি মৌসুমে (নভেম্বর থেকে মার্চ) বিনামূল্যে বোরো ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম ও মুগ চাষের জন্য বীজ ও সার দেয়া হবে।

এছাড়া শীতকালীন সবজি চাষের জন্য বিনামূল্যে বীজ বিতরণ করা হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১২:৫৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৮ মে ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11192 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।