বৃহস্পতিবার ২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিডি ওয়েল্ডিংয়ের পর্ষদ পুনর্গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১   |   প্রিন্ট   |   407 বার পঠিত

বিডি ওয়েল্ডিংয়ের পর্ষদ পুনর্গঠন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোডসের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ কোম্পানি প্রায় ৫ বছর ধরে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বাদ দিয়ে সম্প্রতি ২ জন স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কোম্পানিটিতে আরো ৪ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। ওই ৪ জনের মধ্যে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পক্ষ থেকে মনোনীত একজনকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে রাখা হয়েছে। ফলে কোম্পানিটির পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ জনে।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সকল পরিচালকদের কাছে পাঠিয়েছে বিএসইসি।
বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোডসের জন্য বিএসইসির মনোনীত নতুন ৩ জন স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন- কাজী শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ ও নুসরাত খান। আর কোম্পানিটিতে ইতোপূর্বে নিয়োগ দেওয়া ২ জন স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন- এ এফ এম আবদুল মঈন ও মো. সাইফুদ্দিন খান। এছাড়া আইসিবির পক্ষ থেকে মনোনীত স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন মো. রফিকুল ইসলাম। এর মধ্যে কাজী শফিকুল ইসলাম কোম্পানিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোডস ২০১৬ সালের ৪ মে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হয়েছে। এরপর থেকে প্রায় ৫ বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। এ জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে করে বিএসইসি। তাই এ জাতীয় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের জন্য গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে বিডিওয়েল্ডিং কোনো মুনাফা ছাড়াই ১ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। এতে সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন করেছে কোম্পানিটি। এছাড়া স্থায়ী সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে নগদে ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা লেনদেন করে অনিয়ম করেছে। এছাড়া ব্যালেন্স শীটে ‘ল্যান্ড অ্যান্ড বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন হেল্ড ফর সেল’ দেখানো সত্ত্বেও ক্যাপিটাল গেইন হিসেবে ৩৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা দেখিয়ে বিভ্রান্তকর তথ্য প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি।
এদিকে কোম্পানিটিতে ৬৮.৯৯ শতাংশ শেয়ারের মালিকানায় রয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা। এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়াকে বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্ষতিকারক ও অপ্রত্যাশিত বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছে বিএসইসি।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘শেয়ারবাজারে উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে বিভিন্ন দুর্বল কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। নানা কারণে বর্তমানে উৎপাদন কার্যক্রম নেই এমন কোম্পানিগুলোকে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ কোম্পানি ১৯৯৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত ও পরিশোধত মূলধন যথাক্রমে- ৫০ কোটি টাকা এবং ৪৩ কোটি ৩৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য এক শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ কোম্পানির ৪ কোটি ৩৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩০৫টি শেয়ারের মধ্যে ৩১.০১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২.৮৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.৭২ শতাংশ বিদেশি এবং ৬৫.৩৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১২:৪২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।